এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দলের কার্যালয়ের উদ্বোধনে এসে শুনলেন দল পদ কেড়ে নিয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বুক ভরা ভালবাসা আর মুখ ভরা হাসি নিয়ে তিনি এসেছিলেন দলের কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে। সেই অনুষ্ঠান শুরুও হয়ে গিয়েছিল। অনুষ্ঠানের মাঝ পথেই শুনলেন দল তাঁর পদ কেড়ে নিয়েছে। তিনি আর দলের জেলা সভাপতি নন। আর কী মুখে হাসি থাকে? নাকি থাকে বুক ভরা ভালবাসা? শুধু টিকে থাকার জন্য বেজার মুখে বলতেই হয়, দল যা দায়িত্ব দেবে তা মাথা পেতেই নেব। নজরে পার্থপ্রতিম রায়(Partha Pratim Roy)। কোচবিহার(Coachbehar) জেলার তৃণমূল(TMC) সভাপতি। তবে ছিলেন, এখন আর নন। সেই জায়গায় চলে এসেছেন অভিজিৎ দে ভৌমিক(Abhijit Dey Bhowmick)। রাজ্যের অনান্য জেলার ক্ষেত্রে কিছু হোক বা না হোক কার্যত এই রদবদল যে কোচবিহার(Coachbehar) জেলার ক্ষেত্রে হবেই সেটা অনেক আগেই বোঝা গিয়েছিল। খালি ধাক্কাটা এল দলেরই কার্যালয়ের উদ্বোধনের দিনে উদ্বোধনে এসে।

কোচবিহার জেলায় এতদিন তৃণমূলের কোনও কার্যালয় ছিল না। কিছুদিন আগে ধুপগুড়িতে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই তিনি কোচবিহারে তৃণমূলের কার্যালয় তৈরির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতন সোমবার দুপুরে জেলা তৃণমূল কার্যালয় উদ্বোধন আসেন দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। দলকে মজবুত করার বার্তাও দেন তিনি। কিন্তু, তিনি পার্টি অফিসে থাকাকালীন একটি ফোন পাওয়ার পরেই কার্যালয় ছাড়েন। তবে কার তরফে এই ফোন পেয়েছেন তিনি তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। পার্টি অফিস উদ্বোধনের দিনই দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতিতে। অনেকেই মনে করছেন, যে ফোন এসেছিল পার্থপ্রতিমের কাছে তা আদতে এসেছিল কলকাতা থেকে। সেই ফোনেই সম্ভবত পার্থপ্রতিম জানতে পারেন তাঁকে দলের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হারের জেরে সেই পদ খোয়ান তিনি। তারপরেই অভিষেক ঘনিষ্ঠ পার্থপ্রতিমকে জেলায় দলের সভাপতি করা হয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে সেই পদ গিয়েছিল পার্থপ্রতিমের। পরে চলতি বছরের মার্চ মাসে আবারও পার্থকে ওই পদে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে পার্থ’র আমলে জেলায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল আরও বেড়ে যায়। দলের সব বর্ষীয়ান নেতা, পুরাতন নেতা পার্থপ্রতিমের বিরুদ্ধে চল্বে গিয়েছিলেন। পার্থপ্রতিমের বিরুদ্ধে বারংবার অভিযোগ ওঠে বর্ষীয়ান নেতাদের গুরুত্ব না দেওয়ার, তাঁদের দলীয় বৈঠকে না ডাকার, তাঁদের অন্ধকারে রেখে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এভাবে দল চললে যে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির রমরমা হবে সেটা বুঝতে পেরেই এদিন পার্থপ্রতিমকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এদিন নতুন দায়িত্ব পেয়ে অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘দলের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। সিনিয়র জুনিয়র সবাইকে নিয়ে চলব।’ এটাই কিন্তু দলের তরফে পার্থপ্রতিমের কাছ থেকে দল পেতে চেয়েছিল, যা তিনি দিতে পারেননি। এখন দেখার বিষয় নতুন জেলা সভাপতি দলকে এক করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন কিনা। যদি পারেন তাহলে কোচবিহারে ঘুরে দাঁড়াবে তৃণমূল। কিন্তু যদি না পারেন তাহলে কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঘোষই জিতে যাবেন। প্রমাণিত হবে তাঁর থেকে বেশি দক্ষ নেতা কোচবিহারের রাজনীতিতে এখনও কেউ নেই। তৃণমূলেও নেই।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কাকে সুবিধা করিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ মাস ধরে ভোট’, প্রশ্ন মমতার

ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে চাষের জমিতে দুটি হাতির লড়াইয়ে ২ বিঘা জমির ধান নষ্ট

‘আমি যা করব তাই মিম-স! প্রচারে বেরিয়ে বিরক্তি প্রকাশ রচনার

মমতার দাবি, ‘সম্ভবত জিতে যাবে’, অভিষেকের দাবি, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’

‘বাংলার বাঘ হয়ে থাকব, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচব’, গর্জন অভিষেকের

৪২ ডিগ্রিতে ORS মেশানো জল খেয়ে শরীর সতেজ রাখছে হরিণের দল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর