নিজস্ব প্রতিনিধি: অনশনে বসেছেন ২০১৪ সালের টেট (TET) উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কোনও ইন্টারভিউ নেওয়া যাবে না। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা ২ বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ করা সম্ভব নয়। প্রার্থীদের ইন্টারভিউ দিতেই হবে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে পর্ষদ সভাপতি বলেন, এঁরা কেউ প্যানেল ভুক্ত নয়। তাঁর আবেদন, চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আন্দোলনকারীরা সামিল হোক। সেই সঙ্গে পর্ষদ সভাপতির অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
আন্দোলনকারীদের দাবি, দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও হয়নি নিয়োগ। এবার ইন্টারভিউ ছাড়াই সরাসরি নিয়োগ চাই। তবে সেই দাবি আইনসম্মত নয় বলে দাবি পর্ষদের। এদিন পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১২,২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা আবেদন জানাতে পারবেন। আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি ছিল, চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা বৃদ্ধির। তবে পর্ষদ সভাপতি এদিন বলেন, বয়সসীমা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা পর্ষদের নেই।
উল্লেখ্য, এদিন আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানিয়ে অবস্থান জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষকদের অবস্থান থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কেন নিয়োগ করা হচ্ছে না?’ বঞ্চনা নিয়েও সরব হয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা।