নিজস্ব প্রতিনিধি: বকেয়া ঋণ(Loan) পরিশোধ না করায় ২০০’র বেশি গ্রাহকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুরুলিয়ার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক(Purulia Central Co-Operative Bank)। সেই সঙ্গে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে ঋণ পরিশোধ না করায় চারজন শিক্ষকের(Teachers) বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পুরুলিয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ককে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য বকেয়া ঋণ পরিশোধে জোর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই এই পদক্ষেপ। এই বিষয়ে পুরুলিয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ঋণ নেওয়ার পরেও অনেকের সামর্থ্য না থাকায় সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন না। কিন্তু, অনেকেই আবার সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিশোধ করতে চান না। যাঁরা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধ করছেন না, তাঁদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন ব্যর্থ একাধিক ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য, উজ্জ্বল মমতার বাংলা
একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে, যে ৪জন স্কুল শিক্ষক এই আচরণে করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই ওই ৪জন শিক্ষককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের বিষয়ে সমস্ত তথ্য জানিয়ে জেলা শিক্ষা দফতরেও(District Education Department) চিঠিও পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়ার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের তরফে। ওই শিক্ষকদের বেতন থেকে যাতে সরাসরি ঋণ ও সুদের টাকা কেটে নেওয়া যায় সেকথাও চিঠিতে বলা হয়েছে। তাতেও কোনও কাজ না হলে কড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য থাকবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। চলতি আর্থিক বছরে মোট ২২৭ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মামলাও করা হয়েছে কয়েকজন গ্রাহকের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন ছোটমাছ চাষ করতে ৫ হাজার টাকা দেবে রাজ্য
পুরুলিয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ ঋণ বকেয়া থেকে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যাঙ্ককে বাঁচাতেই স্পেশাল অফিসার সহ বিভিন্ন আধিকারিকরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া থাকা টাকা পুনরুদ্ধারে বিশেষ জোর দিয়েছেন। ইতিমধ্যে কৃষি ঋণ নিয়ে যাঁরা পরিশোধ করেননি, তাঁদের জন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত জরিমানায় বিশেষ ছাড়ও ঘোষণা করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তাতে কাজও দিয়েছে। তবে অনেকেই ইচ্ছাকৃত ভাবে টাকা পরিশোধ করেননি। কেউ কেউ আবার কৃষি ঋণ সরকার কখন মুকুব করবে, সেই আশায় বসে থেকে ঋণ পরিশোধ করেননি। ফলে তাঁদের সুদের পরিমাণও অনেকে বেড়ে গিয়েছে। এবিষয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গ্রাহকদের সচেতন করার কাজও শুরু হয়েছে। পরিশোধ না করলে যে সেই ঋণের বোঝা আরও বেশি করে মাথায় চেপে যাচ্ছে, তা বোঝানোর কাজও শুরু হয়েছে।