এই মুহূর্তে




উৎসব মরশুমের মুখেই ভগবানগোলায় ৫০০ পরিবারকে উচ্ছেদের নোটিস ধরালো রেল

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: চরম অমানবিক রেল। ঠিক যতটা মোদি সরকার। সামনেই উৎসবের মরশুম। আর তার শুরুর মুখেই মুর্শিদাবাদ জেলার(Murshidabad District) লালবাগ মহকুমার ভগবানগোলায়(Bhogobangola) ৫০০ পরিবারকে উচ্ছেদের নোটিস(Eviction Notice) ধরালো পূর্ব রেল(Eastern Railway) কর্তৃপক্ষ। সেই নোটিসকে ঘিরে এখন তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেই নোটিসে বলা হয়েছে ১ সপ্তাহের মধ্যে রেলের পরিত্যক্ত ঘর ও জায়গা খালি করে দিতে হবে। ভগবানগোলা এলাকার রেল কলোনির বাড়ি, দোকানের দেওয়াল, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সেই নোটিস সাঁটানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেলের পরিত্যক্ত ঘর ও জায়গা ফাঁকা করতে হবে। অন্যথায় জবরদখল উচ্ছেদ করতে রেলের পক্ষ থেকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উচ্ছেদের নোটিস সাঁটানোর পরেই মাথার ওপর ছাদ হারানোর আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে রেল কলোনির দুঃস্থ পরিবারগুলির। রেল কলোনির বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব ও ভগবানগোলার সর্বস্তরের মানুষ।

আরও পড়ুন, আর জি কর হাসপাতালের ৫১জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নোটিস, ঢুকতে পারবেন না হাসপাতালেও

জানা গিয়েছে, ভগবানগোলা এলাকার আখরিগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে সর্বস্বান্ত মানুষগুলি গত কয়েক দশক ধরে রেল কলোনি এলাকায় বসবাস করছেন। ঘরবাড়ি, কৃষিজমি হারিয়ে রেললাইনের পাশে বসতি গড়ে তুলেছেন তাঁরা। স্বপনগড় থেকে ভগবানগোলা স্টেশন পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বিস্তৃত রেললাইনের দুপাশে কয়েক দশক ধরে পাঁচ শতাধিক পরিবার বসবাস করছে। মোট জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার। বেশির ভাগ পরিবার ২০০০ সালের বন্যা ও নদী ভাঙনে সর্বস্বান্ত ভগবানগোলা-২ ব্লকের আখরিগঞ্জের বাসিন্দা। এদেরই এখন উচ্ছেদ করতে উঠেপড়ে লেগেছে রেল। এর আগেই তাঁদের উচ্ছেদের জন্য কোমর বেঁধিল রেল কর্তৃপক্ষ। গত বছর মে ও সেপ্টেম্বর মাসে উচ্ছেদ নোটিস দিয়েছিল রেল। কিন্তু সেই সময় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, স্থানীয় একাধিক সংগঠন ও সর্বস্তরের ভগবানগোলাবাসীর প্রতিবাদের মুখে পড়ে রেল উচ্ছেদ কর্মসূচি স্থগিত রাখে। এখন আবার তাঁরা উচ্ছেদের নৃত্য শুরু করে দিয়েছে।  

আরও পড়ুন, ফাটল ধরা শুরু আন্দোলনে, সরছেন মানুষ, ক্ষোভ বাড়ছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে

ইতিমধ্যেই ভগবালগোলার রেল কলোনিতে গিয়ে উচ্ছেদের আশঙ্কার মুখে থাকা পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA) রেয়াত হোসেন সরকার(Reyat Hossain Sarkar)। তিনি জানিয়েছেন, ‘রেল কলোনিতে আশ্রয় নেওয়া বেশিরভাগ পরিবার আখরিগঞ্জে পদ্মা ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি হারিয়ে রেললাইনের পাশে বসতি গড়ে বাস করছে। গত কয়েক দশক ধরে পরিবারগুলির ঠিকানা রেল কলোনি। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করলে পরিবারগুলি কোথায় যাবে? নদীর ভাঙনে একবার ভিটেহারা হয়েছিল। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করলে আবার ভিটেহারা হবে। কাজেই উচ্ছেদের আগে রেলকে পরিবারগুলির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। রেল যদি জোর করে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে তাহলে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামব।’ দেখার বিষয় তৃণমূলের সমর্থনের পরে এই পরিবারগুলিকে রাতারাতি উচ্ছেদ করতে রেল আদৌ কোনও পদক্ষেপ করে নাকি আগের মতোই নিজেদের ঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাতে স্কুলে বন্যপ্রাণীর উৎপাত, ক্লাস রুমে খাঁচা বসানো হল বনদফতরের উদ্যোগে

পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন হিন্দু সমাজকল্যাণ সমিতির কার্যকর্তারা

বন্দুক হাতে ‘পাকিস্তানি ভাইয়া’র সঙ্গে ছবি শেয়ার করে পুলিশি নজরে নদিয়ার যুবক

গরম থেকে মুক্তি পেতে স্নান করতে গিয়ে মৃত ২, প্রায় দু’দিন পর উদ্ধার দেহ

ওয়াকফ থেকে ইস্যু ঘোরাতে কাশ্মীরে এই হামলা বিজেপি’ র পরিকল্পিত : মর্জিনা খাতুন

৩০ এপ্রিল রাজ্যে ‘হিট-স্ট্রোক ট্রিগার ইভেন্ট’ তৈরি হবে, বিশেষ সর্তকতা জারি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর