নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ দিনের আবেদন ছিল কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি গড়ের ঐতিহাসিক স্থাপত্য খাতায়- কলমে মর্যাদা পাক। সেই আবেদন মান্যতা পেয়েছে। রানি শিরোমণি (RANI SHIROMANI) গড়ের ২ টি স্থাপত্য খাতায়কলমে পেয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক মর্যাদা। এবার সেই স্থানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্থাপিত হতে চলেছে রানি শিরোমণির স্মৃতিস্তম্ভ। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই। আর জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে আপ্লুত জেলাবাসী।
বর্তমান সংরক্ষিত ‘রানি শিরোমণি গড়’ – এর ভেতরে একটি জরাজীর্ণ মন্দির (জনশ্রুতি, শীতলা মন্দির) ও বাহিরমহল এসেছে স্টেট প্রটেক্টেড মনুমেন্ট- এর তালিকায়। এলাকা ঘোষণা হতে পারে হেরিটেজ জোন হিসেবে। জানা গিয়েছে, ঘিরে ফেলা হবে রাজ্য সংরক্ষিত সৌধগুলি। এরপর বিশেষ পদ্ধতিতে এই ২ স্থাপত্য সংরক্ষণ করা হবে, যার ফলে দীর্ঘ বছর রোদ- ঝড়- বৃষ্টিতে একইরকম অবস্থায় রয়ে যাবে স্থাপত্যগুলি। বিশেষ সূত্রের খবর, সৌধগুলির সামনে বসবে তথ্যপূর্ণ ফলক। সংরক্ষিত গড়ে ঢোকার মুখে তোরণের কাছে বসতে পারে রানি শিরোমণির সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের তথ্য সমৃদ্ধ ফলক। এই সংরক্ষিত গড়েই বসতে চলেছে রানি শিরোমণির স্মৃতির উদ্দেশ্যে সৌধ। রানির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানাতে এখানে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করা যাবে। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ঐতিহাসিক এই স্থানে পরিদর্শনে আসবে রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের প্রতিনিধি দল।
ঐতিহাসিক এই স্থানের হেরিটেজ মর্যাদার জন্য আবেদন জানিয়েছিল রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ। সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ নজর দিয়েছে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। জেলা প্রশাসনের কাছে ভালবাসি কর্ণগড় সংগঠনের আবেদন, হেরিটেজ সার্কিটে স্থান পাক কর্ণগড় ও রানি শিরোমণি গড়। ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজনৈতিক বন্দিনী রানি শিরোমণির স্মৃতিস্তম্ভের উদ্যোগে আপ্লুত ভালবাসি কর্ণগড় ও রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ তথা জেলাবাসী। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারকে এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সংগঠনের সদস্যদের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে হেরিটেজ জার্নির আবেদন ছিল, জেলা পরিষদের ঐতিহাসিক ভবনকে হেরিটেজ মর্যাদা দিক হেরিটেজ কমিশন। এই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা এবং কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে জেলা পরিষদ। জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের সভাধিপতির অনুমতি নিয়ে কর্মাধ্যক্ষ ইতিমধ্যেই জেলা শাসকের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে। কর্মাধ্যক্ষের চিঠির প্রতিলিপি জমা দেওয়া হয়েছে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরেও।