নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলায় ধৃত শেখ শাহজাহানকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতের মুখ্য বিচারক অভিযুক্তের জামিন আর্জি খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সন্দেশখালি কাণ্ডে ন্যাজাট থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ শাহজাহানের নামে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। ৮ নম্বর মামলায় ১২ দিনের জন্য জেল হেফাজত হয়েছে। আর ৯ নম্বর মামলায় ২ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শেখ শাহজাহানের সঙ্গী আইজুল শেখ, এনামুল শেখ, হাজি নূর শেখ, সঞ্জয় মণ্ডল, আলি হোসেন ঘরামি, ফারুক আকুঞ্জি ও সিরাজুল মোল্লাকে ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২ এপ্রিল ফের তাদের বসিরহাট আদালতে হাজির করা হবে।
এদি শেখ শাহজাহানের হাজিরা উপলক্ষে আদালত চত্বর এবং সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্থ করা হয়েছিল। পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এক কোম্পানি আধা সেনাও মোতায়েন করা হয়েছিল আদালত চত্বরে। দুপুরের ছবিটা ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের মত। সিবিআইয়ের তরফে আদালতে এদিন দাবি করা হয়, ‘শাহজাহানের নির্দেশেই গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি বাড়ির পাশ থেকে ফোন করে ‘অনুগামী’-দের জড়ো হতে বলেছিলেন।’ অন্যদিকে এদিন সন্দেশখালিকাণ্ডে এই প্রথম ৩ জনের গোপন জবানবন্দি নিতে চায় সিবিআই। বর্তমানে সন্দেশখালিতে হামলার ঘটনায় তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। যা নিয়ে হাই কোর্টে যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতির তদন্তে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচেন কেন্দ্ৰীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ওই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। দীর্ঘ ৫৫ দিন পলাতক থাকার পরে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। তাঁকে গ্রেফতারের পরেই হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই । ইতিমধ্যেই এই কাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।