নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন বছরের শুরুতেই হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হল জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের নিরঞ্জনপাঠ এলাকা। রবিবার রাতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে যাতে তিনটি বাড়ি ও একটি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নষ্ঠ হয়েছে বিঘা তিনেক জমির ফসলও। চাষের জমি এই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ ওই কৃষক পরিবারের। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ নিরঞ্জনপাঠ এলাকায় একটি দলছুট হাতি খাবারের খোঁজে চলে আসে। সোনাখালীর জঙ্গল থেকে সেই হাতি এসেছে বলে এদিন স্থানীয়রা দাবি করেছেন। দলছুট সেই হাতিই বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। বাড়িঘর ভাঙচুর করে ঘরে মজুত রাখা ধান খেয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয় হাতিটি। লোকালয় থেকে জঙ্গলে ফেরার পথে বিঘা তিনেক জমির ফসল নষ্ট করেছে হাতিটি। এই নিয়ে গত সাত দিনে ওই এলাকায় তিনবার হাতির হানার ঘটনা ঘটলো। প্রতিবার হাতির আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে ওই সমস্ত এলাকায়।
সোমবার সকালে এই ঘটনার জেরে বনদফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, লোকালয়ে হাতি ঢোকার খবর বনদফতরকে জানানোর পরেও বনদফতরের কর্মী থেকে আধিকারিক কেউই এলাকায় আসে না। কিছুদিন আগে ওই এলাকাতেই বাইসনের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ বন দফতরের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত ওই হামলার ঘটনার কোনও তদন্ত করা হয়নি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ওই এলাকার বাসিন্দারা ভয়ে সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না। মূলত চাষবাস করে তাদের জীবন যাপন। আর চাষের জমি এই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। যদিও বন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা বন্য জন্তুর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সরকারি নিয়মে আবেদন করলে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন।