নিজস্ব প্রতিনিধি: সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের(Singur Land Movement) অন্যতম শহিদ মুখ তাপসী মালিক(Tapasi Malik)। তাঁকে গণধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল এলাকারই বাসিন্দা দেবু মালিক ও সিপিএমের ৩ হার্মাদ। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে জীবন্ত অবস্থাতেই তাঁর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। সেই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI’র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সিপিআই(এম)(CPIM) নেতা সুহৃদ দত্ত(Sudrid Dutta)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাপসী হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী ছিলেন তিনি। সেই সুহৃদ অবশ্য প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি তাঁর নিজ বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
সুহৃদ যখন গ্রেফতার হন তখন তিনি সিঙ্গুরের তৎকালীন সিপিএম জ়োনাল কমিটির সম্পাদক পদে ছিলেন। তাপসী-মামলায় মাত্র ২ মাস ১৯ দিন তিনি CBI’র হেফাজতে ছিলেন। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সিঙ্গুরের বেরাবেরি মৌজায় চাষের জমি থেকে তাপসীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনা কার্যত তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধীদের চাপের মুখে তাপসী হত্যার তদন্তভার CBI’র হাতে দিতে বাধ্য হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার।
এদিন সুহৃদের মৃত্যর খবর পেয়ে তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক জানান, ‘অভিযুক্ত মারা গেলেন। কিন্তু তদন্ত এখনও শেষ হল না।’ সিঙ্গুর ব্লকের সিঙ্গুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অপূর্বপুরে থাকতেন সুহৃদ। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। এদিন প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮। প্রমাণের অভাবে তিনি বেকসুর খালাস হলেও রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ মনে করেন তাপসী হত্যাকাণ্ডের নায়ক তিনিই।