নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের নির্বাচনের আগে শীত শেষেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। ঠিক নির্বাচন মিটতেই শীত শুরুর আগেই ফের ঘরে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ত্রিপুরাতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফের তৃণমূলে ফিরেছেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। আর ফিরেই বলেছেন, ‘আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। আমি অনুতপ্ত, লজ্জিত।’ যার পাল্টা আক্রমন শানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বালুরঘাটের সাংসদ জানিয়েছেন, ‘বিজেপিতে যারা আসেন তাদের সবাইকেই যোগ্য সম্মান দেয় দল। সেই নীতি মেনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সেই সম্মান দিয়েছিলাম। অনেকেই সেই সম্মান রাখতে পারেন না বা কেউ যোগ্য হন না। তাই যারা যোগ্য নন তারা চলে যাবেন। কে কোন রাজনৈতিক দল করবেন তা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমার বক্তব্য, যেহেতু উনি একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের কর্ম সমিতির সদস্য ছিলেন তাই উনি যাওয়ার আগে একটা ইস্তফাপত্র দিয়ে দিতে পারতেন। দিলে ওঁকে লোক ভালো বলতো। আমাদের আশা ছিল উনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন, লড়াই করবেন। থাকলে ভালো হতো। থাকেননি, তাতেও কোনও ক্ষতি নেই।’
রাজীব তৃণমূলে যোগদানের পর এও জানিয়েছেন, ‘একটা অভিমানে, একটা জেদের বসে, রাগের বসে হয়তো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখনও মনে আছে সেদিন আমার নেত্রী আমাকে দল ছাড়তে নিষেধ করেছিলেন। এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে আধঘণ্টা বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু আজ আমি লজ্জিত, আমি অনুতপ্ত। আমার ভুল আমি স্বীকার করছি।’ যার পাল্টা সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ‘উনি তো দুগ্ধ পোষ্য শিশু নন যে ওঁকে কেউ ভুল বোঝাবেন। বয়স তো অনেক হল। মিথ্যে কথা না বলে সত্যিটাই বলা ভালো।’