নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনাকে চাপা দিতেই ‘নাগরিকত্ব’ ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে নজর ঘোরাতে উস্কে দেওয়া হয়েছে সিএএ (CAA) আইন বিতর্ককে। তবে সিএএ কার্যকর হবে, দাবি বঙ্গ বিজেপির। বাংলার পদ্মশিবিরের দাবি, এটাই সিএএ কার্যকরের প্রথম পদক্ষেপ। আর এই আইন নিয়েই ভিন্ন সুর শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের গলায়।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, এই ভাবেই সিএএ শুরু হল। এক যাত্রায় ভিন্ন ফল হবে না। বাংলাতেও চালু হবে সিএএ। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিদের (অমুসলিম)দের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে গুজরাটে। তবে এই নাগরিকত্ব তো ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন। সিএএ নয়। এই নিয়ে দ্বিধায় মতুয়া সম্প্রদায়ও। আদৌ তাঁদের লাভ হবে কি? উল্লেখ্য, সিএএ কার্যকর না হওয়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে দেখা গিয়েছিল অসন্তোষ।
হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার বলছেন, এতে মতুয়াদের কী লাভ? উল্লেখ্য, এর আগেও বারবার সিএএ’র দাবিতে সরব হয়েছিলেন এই বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুললেন এই বিজেপি নেতাই। তাঁর প্রশ্ন, যদি নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী কাজ হয় তবে সিএএ কার্যকর হবে কবে?
আরও পড়ুন: অমুসলিমদের নাগরিকত্ব ইস্যুতে ঐক্যে চিড় মতুয়া সমাজে