নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরভোটে হাঙ্গামার অভিযোগে সোমবার ১২ ঘন্টা বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি(BJP) নেতৃত্ব। যদিও সেই বন্ধ চূড়ান্ত ভাবে প্রত্যাখান করেছেন বাংলার জনতা। এদিন নন্দীগ্রামেও(Nandigram) বিজেপির সমর্থক ও কর্মীরা সেই বনধের সমর্থনে রাস্তা অবরোধ করেন, বিক্ষোভ দেখান। তার মাঝেই বেলার দিকে টেঙ্গুয়াতে(Tengua) বিজেপির এক বিক্ষোভে যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে ডাকা বন্ধে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। অনুরোধ করব বেলা ১২টায় প্রত্যাহার করে নিতে। আমি অনুরোধ করব ধর্মঘটিদের, প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেবেন। আপনারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিন।’ আর শুভেন্দুর সেই ঘোষণার জেরেই হুলুস্থূল পড়ে গেল বঙ্গ বিজেপিতে। দলের অনেক আদি নেতাই এদিন এই ঘোষণার পরে দাবি করছেন যে, শুভেন্দু পিছন থেকে দলকে ছুরি মারছেন।
বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বন্ধ এদিন কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ চূড়ান্ত ভাবে প্রত্যাখান করেছে। তৃণমূল প্রভাবিত জেলাগুলিতে বন্ধের তো কোনও প্রভাবই পড়েনি, এমনকি বিজেপি প্রভাবিত আলিপুরদুয়ার(Alipurduyar), পুরুলিয়া, নদিয়া(Nadia) জেলাতেও বন্ধের কোনও প্রভাবই পড়েনি। একই সঙ্গে প্রভাব পড়েনি মতুয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেও। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ(Bongnao) মহকুমা এবং নদিয়া জেলার রানাঘাট ও কল্যাণী(Kalyani) মহকুমাতেও বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। এই অবস্থায় শুভেন্দুর ঘোষণা যেন অনেকটাই বিজেপি মানরক্ষার সহায়ক হয়ে উঠছে। যদিও সেই ঘোষণার পরেও বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের তরফে বন্ধ প্রত্যাহারের কোনও ঘোষণা হয়নি। যদিও বিষয়টি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির একাংশ রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। কার্যত শুভেন্দুর ঘোষণায় এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, হুট করে বন্ধ ডাকার এই নীতিকে বিজেপির অনেক নেতাই সমর্থন করছেন না।