নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হল বুধবার। এই কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী এদিন গোপন জবানবন্দি দেন আদালতে (Court)। এই ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াই। তাঁরই গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, সুভাষই প্রথমে ঝালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সুভাষ পেশায় পৌর কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয়েছিল তপন কান্দু মামলা। সেই মামলা শুরু করেছিল পুলিশ। ঘটনার পরের দিনেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন ছিল ১৩ মার্চ। ১৪ মার্চ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। গত ১৯ মার্চ আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছিলেন পূর্ণিমা। তারপর, ৪ মে বুধবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন সুভাষ। অন্যদিকে, সিবিআই আদালতে আবেদন জানিয়েছিল নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো দীপক কান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার। বিচারক তা মঞ্জুর করেন । এরপরেই জেলা সংশোধনাগারে গিয়ে দীপককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ঝালদা ১ – ব্লকের বিডিওকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। বিডিওর নাম রাজকুমার বিশ্বাস। অস্থায়ী ক্যাম্পে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তবে ঠিক কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে, জানা যায়নি তা। সাংবাদিকদের সামনে এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি বিডিও। প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ খুন হয়েছিলেন তপন কান্দু। ওই দিন সন্ধ্যায় গুলি করে খুন করা হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে। সেই সময় তিনি ঝালদা- বাগমুন্ডি রাস্তার ওপরে হাঁটছিলেন। একটি বাইকে করে ৩ জন দুষ্কৃতী এসে গুলি করে কংগ্রেস কাউন্সিলরের পেট লক্ষ্য করে।
গুরুতর জখম অবস্থায় তপনকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে। ভর্তি করা হয় রাঁচির একটি নার্সিংহোমে। কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। গত ৪ এপ্রিল আদালতের বিচারপতি নির্দেশ দেন এই ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। বিডিওকে জিজ্ঞাসাবাদের পরের দিনই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কংগ্রেস নেতা নেপালকে।