নিজস্ব প্রতিনিধি: শুনো শুনো গুণীজন শোনও দিয়া মন, বঙ্গের(Bengal) কৃষিকথা করিবো বর্ণন। বাংলার বুকে উৎপাদিত কোনও কৃষিজাত পণ্যের(Agricultural Product) ওপর কোনও Income Tax বসাচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। বাংলার কৃষকদের স্বার্থে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে মা-মাটি-মানুষের সরকার। সোমবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya) রাজ্য বিধানসভায় জানিয়েছেন, আগামী দুই বছর রাজ্যে উৎপাদিত হওয়া কোনও কৃষিজাত পণ্যের জন্য কোনও আয়কর দিতে হবে না কৃষকদের(Farmers)। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাংলার কৃষক মহলে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্তে বাংলায় কৃষিজাত শিল্পে বিনিয়োগ আসার বড়সড় রাস্তা খুলে গেল।
আরও পড়ুন অভিষেকের ডায়মন্ডে ২৭ কোটির প্রতারণা, গ্রেফতার মা-পোলা
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য বাজেট পেশ করছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, নতুন করে কর না চাপিয়ে কৃষিতে আয়কর ছাড় বজায় রাখতে চায় রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে আগামী দু’টি অর্থবর্ষের জন্য কাঁচা চা পাতার ওপর চাপানো গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও শিক্ষা ক্ষেত্রের সেস প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করে দেখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সোমবার অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাতে বাজেট পেশের দিনের সেই ইঙ্গিতই বাস্তবে পরিণত হল। তিনি বলেছেন, আগামী দুই বছর কৃষিতে আয়রকর ছাড় বজায় রাখা হবে। রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, শুধু বাংলার কৃষকদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমনটা নয়। এর পিছনে রয়েছে কৃষিজাত শিল্পে বাংলার বুকে বড়সড় বিনিয়োগ টেনে আনার সিদ্ধান্তও।
আরও পড়ুন ‘রাজ্যে ১০৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে’, দাবি মমতার
যদিও কেউ কেউ মনে করছেন যেহেতু সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং বছর ঘুরলেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে, তাই মাত্র ২বছরের জন্য Income Tax-এ ছাড় দিচ্ছে মমতার সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের কৃষি মহলের ভোট তৃণমূলমুখী করতেই রাজ্য সরকার আগামী দু’বছরের জন্য কৃষিজাত আয়কর থেকে ছাড় দিল কৃষকদের। আবার লোকসভার ভোটের ফায়দা তুলতে তা ২ বছরের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু গ্রামীণ কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছিল শাসকদলের। ভোট-বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এবার আর সেই একই ভুল করতে রাজি নয় তৃণমূল। তাই দুই বছরের জন্য কৃষিতে আয়কর ছাড় বজায় রাখল রাজ্য সরকার।