নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে রাজ্যের একশ্রেনীর ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিক বা BLRO-দের নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কার্যত তাঁদের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। জমির চরিত্র বদল(Change of Character of the Land) থেকে শুরু করে এক নম্বর খতিয়ানে থাকা সরকারি জমি(Government Land) ব্যাক্তিগত মালিকানার(Private Ownership) করে দেওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেই সূত্রেই তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তাঁর সেই সফরের পরে পরেই এবার রাজ্যে জমির চরিত্র বদল ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিলেন। কয়েক বছর আগেই এই কাজের জন্য তিনি একটি ত্রিস্তরীয় কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রতি ব্লকে ব্লকে। এবার সেই কমিটিগুলিকেই(Tri-level Committee) আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
রাজ্যে জমির চরিত্র বদল ঠেকাতে কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি ব্লকে থানার OC, ব্লকের BDO এবং BLRO-কে নিয়ে একটি করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কমিটিকেই আরও সক্রিয় ও তৎপর হতে এবার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কেননা, কমিটি থাকা সত্ত্বেও জমি চুরির অভিযোগ আসছে। দখল হয়ে যাচ্ছে এক নম্বর খতিয়ানে থাকা খাস জমিও। এই অবস্থায় সরকারি জমি রক্ষা করতে কমিটির আরও সক্রিয় হওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই বলেই মনে করছেন তিনি। সব থেকে বড় কথা, এই কাজে একশ্রেনীর দুর্নীতিবাজ BLRO-দের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠছে। সেই কারণে কমিটির বাকি দুই সদস্যের যথাযথ ভূমিকা পালন বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, এর জন্য রাজ্য সরকার শীঘ্রই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেবে।
জানা গিয়েছে, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকা ঘুরে ঘুরে বা Regular Field Visits’র মাধ্যমে নজরদারি চালানোর দায়িত্ব ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের Revenue Officer-দের। কিন্তু রাজ্যজুড়ে বর্তমানে মাত্র ৫০০ জন Revenue Officer রয়েছেন। অথচ সঠিকভাবে নজরদারি চালাতে গেলে রাজ্যে ৩ হাজার ৩৪২ জন Revenue Officer’র প্রয়োজন। এই শূন্যপদ দীর্ঘদিন পূরণ না হওয়ায় থানার OC, ব্লকের BDO এবং BLRO-দের নিয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এই পদ দ্রুত পূরণ হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছে প্রশাসনিক মহল। কারণ, Revenue Officer-রা ভূমি সংক্রান্ত বিষয় যতটা বোঝেন, তা পুলিশ বা অন্যান্য ক্যাডারের অফিসারদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।