এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

প্রতিহিংসার রাজনীতিই আজ ব্যুমেরাং বঙ্গ বিজেপিতে

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ১০০ দিনের কাজের(100 Days Work Project) বকেয়া মজুরি এবং আবাস যোজনার বকেয়া টাকা চেয়ে দিল্লিতে টানা ২দিন ধরে ধর্না দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। এখন কলকাতার বুকে রাজভবনের গেটের সামনে নতুন করে লাগাতার ধর্না শুরু করেছে তৃণমূল। দুটি কর্মসূচির নেতৃত্বেই ছিলেন এবং আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের এই পদক্ষেপের দরুণই এখন বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) নেতা থেকে শুরু করে কর্মীরা রাজ্যজুড়ে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছেন। কেননা সর্বত্রই তাঁদের দিকে ধেয়ে আসছে একটাই প্রশ্ন, ১০০ দিনের টাকা কেন দিচ্ছে না কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার(Narendra Modi Government)! কার্যত এখন যা পরিস্থিতি তাতে দেখা যাচ্ছে এই এক প্রশ্নেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে পদ্মপার্টি। তাদের প্রতিহিংসার রাজনীতি আজ তাঁদের দিকেই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে যাচ্ছে।

কিছুদিন আগেই বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার তাঁর ফেসবুক পেজে বুঝিয়ে দিয়েছেন, জানিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি ১টি আসনও জিতবে না। এখন বঙ্গ বিজেপির অনেক নেতাই স্বীকার করছেন, অসীমের এই কথা একা তাঁর কথা নয়। দলের একটা বড় অংশই মনে করছে, গরীব মানুষের টাকা আটকে বিজেপি কার্যত বাংলার বুক থেকে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এই বিপদ ডেকে এনেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেননা কেন্দ্র থেকে বাংলায় সবরকমের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ার বুদ্ধি তাঁরই। তিনিই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এই পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। তাঁর কথায় ভর দিয়েই মোদি সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতিতে হাত পাকিয়েছে। এবার বাংলার মানুষের ক্ষোভের আগুনে সেই হাতই পুড়ে ছারখার হতে চলেছে। দলে দলে বিজেপির নীচুতলার কর্মী থেকে আম সমর্থক যারা একুশের ভোটেও বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরাই এখন ১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে দলে দলে বিজেপি ছাড়তে বা মুখ ঘোরাতে শুরু করে দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতি তুলে ধরেই বঙ্গ বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি শামসুর রহমান বৃহস্পতিবার অবিলম্বে ১০০ দিনের টাকা ছাড়তে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি সেই চিঠিতে লিখেছেন, ১০০ দিনের কাজের রোজগারের সঙ্গে বাংলার কোটি কোটি গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষ জড়িত। যার মধ্যে এসটি, এসসি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছেন। যাঁদের একটা বড় অংশ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন গ্রামেগঞ্জে গেলেই তাঁদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার কেন আমাদের হকের টাকা আটকে রেখেছে? যার জেরে গ্রামীণ অর্থনীতি কার্যত ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আসন্ন লোকসভা ভোটে এই বিরাট সংখ্যক মানুষের অসন্তোষ ভোট বাক্সে পড়লে, বিজেপির অস্বস্তি বাড়বে। আসল অপরাধীরা শাস্তি পাক। প্রকল্পে কোনও দুর্নীতি হলে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাক মোদি সরকার। কিন্তু ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে খোদ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও পিষে মরছেন। অবিলম্বে তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার দাবিও তুলেছেন বিজেপির এই সংখ্যালঘু নেতা।

উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজের টাকার দুর্নীতি নিয়ে সুকান্ত-শুভেন্দুবাবুরা দিল্লিতে চিঠি দিয়েছিলেন। প্রায়ই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা এই টাকা বন্ধ করার ‘ক্রেডিট’ নিজেরাই নেন। সম্প্রতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন, তিনি একটা ফোন করলেই দিল্লি থেকে টাকা ছেড়ে দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করার কৃতিত্ব, এখন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছে ফিরছে ব্যুমেরাং হয়ে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কাজ করবে না, বীরভূমে পোস্টার নিয়ে বিপাকে পদ্ম শিবির

পরাজয়ের গন্ধ পেয়েই কী আসানসোলমুখী হচ্ছেন না মোদি, উঠছে প্রশ্ন

ভোটে হারলে রাজনীতি ছেড়ে  বাদাম বিক্রি করবেন, জানিয়ে দিলেন অধীর

সন্দেশখালি নিয়ে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে, উঠে এল নয়া তথ্য

দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল একই পরিবারের চার সদস্য, শ্রীরামপুরে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

মমতার জন্মস্থান কুসুম্বায় লিড পেতে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর