নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: কথায় আছে, বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। তাই বাঙালি একটু সুযোগ পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। নতুন নতুন জায়গায়, নতুন নতুন উপায়ে। প্রায় দু’বছর করোনার ভয়, লকডাউনের জেরে সেই ভ্রমণপিপাসু বাঙালি ছিল গৃহবন্দি। কিছুটা ছাড় মিলতেই ফের বাঙালি বহির্মুখী, অজানাকে জানতে, অঘ্রানের ঘ্রাণ নিতে। কিন্তু সবার তো আর সাধ থাকলে সাধ্যে কুলায় না? অগত্যা অন্যপথে ভ্রমণ। যেমন ঝাড়গ্রামের তিন যুবক, তাঁরা বাইসাইকেল নিয়েই বেরিয়ে পড়েন দূর-দুরান্তে। প্রথমে নিজের জেলায়, পরে পাশের জেলা বা পাশের রাজ্যেও সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দিয়েছেন ওই তিন সাহসী যুবক।
ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা গোপাল মাইতি, তিনিই প্রথম উদ্যোগ নেন এই অভিযানের। পরে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আরও দুই যুবক অমিত মাহাত এবং শৈলেন মাহাত। এবার তিন বন্ধু সাইকেল নিয়েই পাড়ি দিলেন দিঘা। ঝাড়গ্রাম থেকে দিঘার দূরত্ব ১৬৫ কিলোমিটার। দুদিন সাইকেল চালিয়ে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন দিঘায়। জগদ্ধাত্রী পুজোর পরেই তাঁরা বেড়িয়ে পড়েছিলেন দিঘার উদ্দেশ্যে। তাঁদের সাইকেলের সামনে বার্তা ছিল ‘গাছ লাগান-জল বাঁচান’। সাইকেল চালিয়ে বুধবার দিঘা পৌঁছে গিয়েছেন তিন বন্ধু। গোপালের কথায়, দেশ বিদেশ দেখার সাধ আমাদের অনেক দিনের। কিন্তু টাকার জন্য সবটা সম্ভব হয়না। এরমধ্যেই ফেসবুক থেকে জানতে পারি, অনেকেই সাইকেল নিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে যাচ্ছেন। সেই থেকেই ভাবনা আসে। আমরাও তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
গোপালের দাবি, এবার আমাদের লক্ষ্য আরও দূর যাওয়া। সাইকেল নিয়েই দার্জিলিং বা কাশ্মীর যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতেই আমরা কাজ করবো। সাইকেলে কোনও দূষণ হয় না। পরিবেশবান্ধব এই যান যেন সকলের পায়ে পায়ে উঠে আসে এই বার্তাই তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে চাই আমরা। তাঁরা এর আগে ঝাড়গ্রাম ও জঙ্গলমহলের বিভিন্ন গন্তব্যে সাইকেল নিয়ে ঘুরে এসেছেন। এবার আরও বড় লক্ষ্যে ঝাড়গ্রামের তিন অসীম সাহসী যুবকের।