নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের ৪টি পুরনিগমের ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল গত ১২ ফেব্রুয়ারি। সেই চার পুরনিগম হল বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি। ১৪ তারিখ এই চার পুরনিগমের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দেখা যায় চারটিই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। বিরোধীরা পুরো ওয়াশআউট হয়েছে। সেদিনই শিলিগুড়ির মেয়র হিসাবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের নাম ঘোষণা করে দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বাকি ৩ পুরসভার মেয়র পদের নামও ঘোশগিত হয়। সেই সঙ্গে বিধাননগর ও আসানসোলে ডেপুটি মেয়র ও চেয়ারম্যানদের নামও ঘোষণা করে দেওয়া হয়। বাকি ছিল খালি শিলিগুড়ি ও চন্দননগরের চেয়ারম্যান পদের জন্য নাম ঘোষণার পালাও। শনিবার সেটাও সম্পন্ন করে দেওয়া হল। এদিন তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের চেয়ারম্যান হবেন প্রতুল চক্রবর্তী ও চন্দননগর পুরনিগমের চেয়ারপার্সন হবেন স্নিগ্ধা রায়।
উল্লেখ্য শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে এবার কাউন্সিলর হয়েছেন প্রতুল চক্রবর্তী। ওই ওয়ার্ড থেকে তিনি হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তথা শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। শংকর শুধু যে প্রার্থী হয়েছিলেন তাই নয়, তিনিই ছিলেন বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী। অন্যদিকে স্নিগ্ধা রায় চন্দননগর পুরনিগমের ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চার পুরনিগমে মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও চেয়ারপার্সনদের সঙ্গেই কাউন্সিলরদেরও শপথগ্রহণ হতে পারে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পিছনে মহিলাদের একটা বড় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল। তাই কলকাতা ও এই চার পুরনিগমের ক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় প্রাধান্য পায় মহিলা মুখই। এবার ফলাফল ঘোষণার পরেও দেখা যাচ্ছে আসানসোল ও শিলিগুড়ি বাদে বাদে বাকি ৩ পুরনিগমেই মহিলাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিধাননগরে মেয়র হয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী আর এদিন চন্দননগরে চেয়ারপার্সন করা হল স্নিগ্ধা রায়কে।