নিজস্ব প্রতিনিধি: সড়ক ঢেকেছিল ঝোপ ঝাড়ে। আর তার জেরে প্রায়ই ঘটত দুর্ঘটনা। এবার সেই ঝোপ পরিষ্কার করতে টিম নিয়ে রাস্তায় নামলেন ধূপগুড়ি ট্রাফিক আধিকারিক অভিজিৎ সিনহা। ঝোপ পরিষ্কার করতে নিজে হাত লাগালেন ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিক।
ধূপগুড়ির জাতীয় সড়ক ধরে ভিনরাজ্যের গাড়ি যেমন যাতায়াত করে তেমনি এশিয়ান হাইওয়ে ধরে বাংলাদেশ থেকে ভূটান কিংবা ভূটান থেকে বাংলাদেশ বহু লরি এবং ডাম্পার-সহ অন্যান্য গাড়ির যাতায়াত রয়েছে। বহু গাড়ি চলাচলের ওই সড়কে ঝোপ ঝাড়ে ঢেকে যাওয়ায় প্রায়শই ঘটত দুর্ঘটনা। এই নিয়ে ধূপগুড়ির স্থানীয় বাসিন্দারা কমিটি গড়ে প্রশাসনের কাছে বহু বার দাবি জানিয়েছে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি, করা হয়েছে পথ অবরোধও। স্থানীয়দের দাবি মেনে অবশেষে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল প্রশাসন। তার অংশ হিসাবে রবিবার ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিক তাঁর দল নিয়ে ঝোপ পরিষ্কার করতে নামেন।
কেন ওই সড়কে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখে চারটি জায়গাকে ব্ল্যাক স্পট হিসাবে চিহ্নিত করে ট্রাফিক পুলিশ। ইতিমধ্যে সেই জায়গাগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালনোর পাশাপাশি সতর্কতামূলক সাইন বোর্ড, ক্রাশ বেরিয়ার, রিফ্লেকটর, রিফ্লেক্টর স্টিক ইত্যাদি লাগিয়ে দুর্ঘটনা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে ধূপগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ। সম্প্রতি ওই ব্ল্যাক স্পট এলাকা গুলিতে বেড়ে যায় ঝোপ জখাড়ের আধিক্য। ঝোপের কারণে দেখা যাচ্ছিল না বাঁক। যার ফলে আবার দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরী হয়েছিল। যা নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে ট্রাফিক পুলিশ। রবিবার দুপুরে টিম নিয়ে রাস্তায় নামেন ধুপগুড়ি ট্রাফিক গার্ড। কাঁচি, কোদাল নিয়ে ট্রাফিক গার্ডের তরফে চলে আগাছা সাফাই অভিযান। সাফাই অভিযান নিয়ে ও সি ট্রাফিক অভিজিৎ সিনহা বলেন, ‘বর্ষা আসার আগেই ব্ল্যাক স্পট গুলি ঝোপ ঝাড়ে ঢেকে গিয়েছে। বর্ষা আসলে এই জঙ্গল আরও বাড়বে। তাই আজ থেকে আমরা অভিযানে নামলাম। আজ আমরা নতুন শালবাড়ি ডুডুয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালাই। ব্রিজ সংলগ্ন বেরিয়ারের পাশের জঙ্গল গুলি পরিষ্কার করা হয়। যাতে রাতের অন্ধকারে বেরিয়ার গুলি দেখা যায়। এতে ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় যে বাক রয়েছে সেখানে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। এইভাবে সমস্ত ব্ল্যাক স্পট এলাকা গুলিতে সাফাই চালানো হবে।’