নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার থেকে শুরু হয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) সঙ্গে সড়কপথে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) যোগাযোগ রক্ষাকারী ফরাক্কা ব্যারেজের(Farakka Barrage) ওপর রাস্তা সংস্কারের কাজ। তার জেরে ফরাক্কা সেতুর ওপর দিয়ে প্রায় দেড়মাস বন্ধ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
প্রায় সাত দশক আগে নির্মাণ করা হয়েছিল ফরাক্কা ব্যারেজ। গঙ্গার(Ganges) জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে রয়েছে শতাধিক গেট। সেতুর ওপর দিয়ে রেললাইন ও সড়ক আছে। নীচ দিয়ে বয়ে চলা গঙ্গা কিছু দূরেই পদ্মা নাম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এপার বাংলা দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গায় যাতে জলের ঘাটতি না পরে তার জন্য ফরাক্কা ব্যারেজের দক্ষিণ দিকে ফিডার ক্যানেল তৈরি করা হয়েছে। সেই ক্যানেল দিয়েই বাঁধের জল সরাসরি গঙ্গায় এনে ফেলা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এই কারণে এই বাঁধ যেমন কেন্দ্র সরকারের অধীনে রয়েছে তেমনি তা কড়া নিরাপত্তার বাঁধনেও রয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া রেলপথের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যেমন রেল মন্ত্রকের তেমনি সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বা এনআইএ’র ওপর। তাঁরাই এবার সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া রাস্তা সংস্কার করার জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই ফরাক্কা সেতুতে এই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যা আগামী দেড় মাস ধরে বজায় থাকবে। এই বিষয়ে মালদা সদর মহকুমার এসডিও সুরেশচন্দ্র রানো জানিয়েছেন, ‘সেতুর ওপরের পিচ কার্যত উঠে যাওয়ায় যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। ফলে সেইটি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। শনিবার থেকে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। যান চলাচল যাতে পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে যায়, তারজন্য একাধিক দফায় কাজ হবে। প্রতি পর্যায়ে ব্যারাজের ছ’টি করে গেটের পরে থাকা রাস্তার অংশ সংস্কার করা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৫ দিন সময় লাগবে। সংস্কার কাজ চলার সময় যানবাহনের গতি শ্লথ হয়ে পড়বে। ফলে ব্যারেজ পার হতে সময় কিছুটা বেশি লাগবে। সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার ফলে যাতায়াতকারীদের অসুবিধা হতে পারে। ফলে ওই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করা নিত্যযাত্রীদের হাতে সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে।’ এমনিতেই ফরাক্কা ব্যারেজের ওপর মাঝেমধ্যেই যানজটের সৃষ্টি হয়। সংস্কার কাজের জন্য সেই যানজট এখন নিয়মিত হবে। ব্যারেজের দু’দিকে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যাবে।