নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি যতদিন কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি(Justice) ছিলেন ততদিন অসংখ্য চাঞ্চল্যকর রায় দিয়েছেন। সেই সব রায়ের জেরে তিনি কারও কারও কাছে ‘ভগবান’ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু ৩০-৪০ হাজার মানুষের চাকরি খেয়ে সেই তিনিই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। শেষে অবসর নিয়ে পা রেখেছেন সরাসরি রাজনীতিতে। ২৪’র ভোটে পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার তমলুক লোকসভা(Tamluk Constituency) কেন্দ্র থেকে তিনি হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী(BJP Candidate)। কিন্তু এবার তাঁর সেই প্রার্থীপদ খারিজের দাবি জানাল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। নজরে ‘ভগবান’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Gangopadhay)। তিনি বাংলার মেয়ে, বাংলার অগ্নিকন্যা, তৃণমূল সুপ্রিমো ও দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মৃত্যু কামনা করায় তাঁর প্রার্থী পদ খারিজের দাবি তুলেছে তৃণমূল। রাজনীতির ময়দানে লড়াই থাকে, সৌজন্যতাও থাকে। একে অপরের প্রতি আক্রমণ শানলেও সেখানে শালিনতা থাকে। কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে, সেই সৌজন্যতা, শালিনতা হারিয়ে বেড়িয়ে আসছে ভিতরের কঙ্কালসার শত্রুতা। অভিজিৎবাবুও সেই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েছেন।
দিন দুই আগেই বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও দলের সাংসদ দিলীপ ঘোষ মমতার পিতৃপরিচয় নিয়ে কুৎসিত ইঙ্গিত করেছিলেন। তার জেরে তা৬র নিজের দল তাঁকে যেমন শোকজ করেছে, তেমনি শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশনও। রাজ্যের একটি থানায় দিলীপের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়েছে। এসব দেখেও অভিজিৎবাবু নিশানা বানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে হচ্ছে মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে।’ একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সেই মন্তব্য করেন অভিজিৎবাবু। সেই ভিডিও এদিন ট্যুইট করেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু কামনা করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। প্রধানমন্ত্রী ভেবে দেখুন, কোন কোন দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজনকে নিজের পরিবারের সদস্য করছেন!’ জানা গিয়েছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল। অভিজিতের প্রার্থীপদ খারিজ করার দাবি নিয়েই কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল।