নিজস্ব প্রতিনিধি: বীরভূমের ঢেউচা-পাঁচামি(Deucha-Pnachami) এলাকায় কয়লাখনি শিল্প গড়ে তুলতে পা বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। সেই শিল্পেই এবার বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাল পোল্যান্ড(Poland) ও অস্ট্রেলিয়ার(Australia) দুটি শিল্পসংস্থা। কলকাতা লাগোয়া নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন(Bengal Global Business Summit)। সেখানেই রাজ্য সরকারকে ডেউচা-পাঁচামি নিয়ে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে একটি পোলিশ সংস্থা ও একটি অস্ট্রেলিয় সংস্থা। ওই দুই সংস্থার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একদফ আলোচনা সেরে ফেলেছেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকেরা। চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত এই দুই সংস্থার সঙ্গে মউচুক্তি সম্পাদন করে ফেলার।
বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামিতে তৈরি হতে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা খনি৷ এই প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা৷ ওই এলাকায় খনি শিল্প গড়ে তুলতে রাজ্য সরকারের হাতে ১ হাজার একর জমি রয়েছে। আরও বেশ কিছু জমি নেওয়ার কাজ চলছে। জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং চাকরি দেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মোট ২০৩ জন জমিদাতাকে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও ডেউচা-পাঁচামির এলাকায় কিছু মানুষ এই প্রকল্পের বিরোধীতা করতে সেখানে আন্দোলন শুরু করেছে। বিভিন্ন ভাবে তাঁরা কাজে বাধাও দিচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এই সব আন্দোলনকে পিছন থেকে মদত দিয়ে ওই শিল্প নির্মাণের পথে বাধা ছড়িয়ে দিতে চাইছে। যদিও তাঁদের সেই সামগ্রিক উদ্দেশ্য এখনও সফল হয়নি। বরঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কথায় ভরসা করে সেখানে অনেক পরিবারই নিজেদের জমি বাড়ি তুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকারের হাতে যাতে দ্রুত সেখানে খিনি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই শিল্প গড়ে উঠলে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে।
সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার চাইছে বেসরকারি শিল্পসংস্থাগুলি এই শিল্প নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসুক। ইতিমধ্যেই আদানি শিল্পগোষ্ঠী ডেউচা-পাঁচামিতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এবার এই শিল্পে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এল দুই বিদেশী শিল্পসংস্থাও। ওই দুই শিল্পসংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনা ইতিবাচকই হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই দুই শিল্পসংস্থা ঠিক কত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ডেউচা-পাঁচামি এলাকায় কয়লা শিল্পের জন্য। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে দুই শিল্পসংস্থার মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা।