নিজস্ব প্রতিনিধি: তরুণীকে ধর্ষণ(rape) করে খুনের অভিযোগ। অভিযোগের তির বাড়ির এক ভাড়াটিয়া রাজমিস্ত্রির দিকে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের বাড়াগড় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকজন তাঁকে ডাকতে যান। গিয়ে দেখেন ওই তরুণী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর হাতে, গায়ে এবং গলায় ক্ষতচিহ্ন। জানা গিয়েছে, কয়েকমাস ধরে ডেবরার একটি বিল্ডিংয়ে কাজ চলছে। সেজন্য মুর্শিদাবাদ থেকে চার জন রাজমিস্ত্রি ওই বহুতলের নির্মাণ কাজে এসেছিলেন। তারা মৃত ওই তরুণীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন তরুণীকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। দরজা খুলে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। এরপর খবর দেওয়া হয় ডেবরা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই ওই চার জন রাজমিস্ত্রির মধ্যে একজন পলাতক। তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মৃত তরুণীর পরিবারের অনুমান, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে অত্যাচার চালিয়েছে ওই রাজমিস্ত্রি। বাকি তিন জন রাজমিস্ত্রিকে আটক করেছে ডেবরা থানার পুলিশ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ মার্চ উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটের(basirhat) মাটিয়া এলাকায় এগারো বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। উপহারের লোভ দেখিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা ওই কিশোরী আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ দু’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ২৭ মার্চ মালদহে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মুখ-হাত বেঁধে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। পরে সেই অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।