নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে খাদ্যপণ্য নিয়ে কালোবাজারিদের বাড়বাড়ন্তে নড়েচড়ে বসল শেখ হাসিনা সরকার। চাল-ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য নিয়ে কালোবাজারি রুখতে কঠোর আইন আনতে চলেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নয়া আইনে অবৈধ মজুতদারদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নয়া আইনের খসড়ায় ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নয়া আইনের খসড়া ওয়েবসাইটে আপলোড করে সব পক্ষের মতামত চেয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রেতা আন্দোলনকারী সংগঠন কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষ তেকে জানানো হয়েছিল, গত বছর দেশে চাল-ডাল-ভোজ্য তেল-চিনি সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ১১ শতাংশ বেড়েছে। অবৈধ মজুতদাররা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়েছেন। খাদ্যপণ্য নিয়ে কালোবাজারিদের একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। যদিও তাতে টনক নড়েনি অসাধু ব্যবসায়ীদের। তাই সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলা অসাধু কালোবাজারিদের সবক শেখাতে কঠোর পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, বিপণন আইন ২০২২-এর খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যবসায়ী কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে কিংবা মজুত সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের কোনও নির্দেশ অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে যদি কোনও ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রমাণ করতে পারে, কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছাড়া সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি খাদ্যপণ্য মজুত করেছিল তাহলেও তাকে বা ওই প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড ও জরিমানা্ ভোগ করতে হবে। গত বছরের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভা যে খসড়া আইনের অনুমোদন দিয়েছিল তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা একই সঙ্গে দুই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছিল।