নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের মনেই একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়, কিভাবে বেতনের উপর কর বাঁচানো যায়? আর যদি আপনি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে চান, তাহলে বলে রাখি, আয়কর আইন, ১৯৬১-এর অধীনে কর ছাড়ের অনেক বৈধ উপায় রয়েছে। বিশেষ করে ৮০সি ধারায় আপনি কর ছাড় পেতে পারেন। এটিই করদাতাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পছন্দের উপায়। এটি মূলত আপনার করা কিছু খরচ এবং বিনিয়োগকে করমুক্ত করার অনুমতি দেয়।
যেহেতু এটি কর-সঞ্চয়ী বিনিয়োগ বা যোগ্য ব্যয় করে করযোগ্য আয় হ্রাস করতে দেয়। সেহেতু এই ধারা গুলির সুবিধা নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ। ৮০সি ধারার বেশ কয়েকটি উপধারা রয়েছে, যেগুলি হল ৮০সিসিসি, ৮০সিসিডি(১), ৮০সিসিডি(১বি) এবং ৮০সিসিডি(২)। আয়কর আইনের ৮০সি ধারাটি ২০০৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে।
আপনি যদি আপনার বিনিয়োগের ভাল পরিকল্পনা করেন এবং বিনিয়োগ সুপরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দিতে চান তবে কয়েকটি জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারেন। যেমন পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF), ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS), ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট (NSC), গৃহ ঋণ (Home Loan) পরিশোধ করা ইত্য়াদি। এগুলির মাধ্য়মে আপনি বছরে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দাবি করতে পারবেন। যা আপনার করের দায় অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
যাইহোক, দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা আপনার জানা দরকার। প্রথমটি হল যে শুধুমাত্র ব্যক্তি এবং HUF-গুলি এই ছাড়ের সুবিধাগুলি পেতে পারেন। অর্থাৎ, কোনও কোম্পানি, অংশীদারি সংস্থা এবং LLP-রা তা করতে পারে না। দ্বিতীয়টি হল, সাম্প্রতিক অর্থ আইন ২০২০-এর (Finance Act 2020) ধারার ১১৫বিএসি (115BAC) উপধারা অনুসারে করদাতাদের ছাড় দেওয়ার অনুমতি নেই।
আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি যে যদি করদাতা নতুন কর স্কিমের অধীনে ১১৫বিএসি বেছে নেয়, তাহলে তিনি ৮০সি ধারার অধীনে কর ছাড়ের দাবির জন্য যোগ্য হবেন না। কিন্তু যদি করদাতা কোনও আর্থিক বছরের জন্য পুরানো কর স্কিম বেছে নেন, তবে তিনি ৮০সি ধারার অধীনে এখনও ছাড় পেতে পারেন। সাধারণ করদাতারা সাধারণত তাদের দুর্বল পরিকল্পনার কারণে যে ঝুঁকি এবং ভুলগুলি করে থাকেন সে সম্পর্কে আপনাকে আরও সচেতন করতে পারি। যাতে আপনি এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন।