নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বাজেয়াপ্ত করল চিনা সংস্থা শাওমির সম্পত্তি। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির পরিমাণ সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের। সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, এই চিনা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরেই ইডির নজরে ছিল।
সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার খবর দিতে গিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘মেসার্স শাওমি টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে থাকা ৫৫৫১ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ‘
এই চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে ইডি সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। আর শনিবার সংস্থার সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
একই দিনে DHFL-Yes Bank আর্থিক তছরূপের ঘটনায় শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকটি দল একযোগে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট শিল্পপতিদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চলে একযোগে মুম্বই এবং পুনেতে। হেভিওয়েট শিল্পপতিদের মধ্যে রয়েছেন বিনোদ গোয়েঙ্কা, অশ্বিনী ভোঁসলে, সাহিদ বালওয়া। তল্লাশি চলে তাঁদের বাড়ি এবং দফতরে। তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি।
সিবিআইয়ের দাবি, এই সব সংস্থার আসলে কোনও অস্তিত্বই নেই। ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং দিওয়ান হাউজিং ফিনান্স কর্পোরেশনের থেকে এই সব সংস্থার নাম দেখিয়ে এরা মোটা টাকা ঋণ নিয়েছে। যার মূল উদ্দেশ্য টাকা আত্মসাৎ করা। এই আর্থিক তছরূপের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর। বেআইনি আর্থিক লেনদেন জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা রানা কাপুর, কপিল ওয়াধাওয়ান-সহ বেশ কয়েকজন বিত্তশালীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা গ্রেফতার করে রেডিয়াস ডেভেলপারের সঞ্জয় ছাবারিয়াকে।
আরও পড়ুন উপহার নিয়ে ফ্যাসাদে জ্যাকলিন, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির