নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: স্টক এক্সচেঞ্জে দুর্নীতির সূত্রে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই শনিবার এক যোগে কলকাতা-সহ ১২ জায়গায় তল্লাশি চালায়। কলকাতা ছাড়া আর যে সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই সেই সব জায়গাগুলি হল মুম্বই, গান্ধিনগর, নয়ডা, গুরুগ্রাম। এর মধ্যে একাধিক ‘ব্রোকার সংস্থা’র দফতরও রয়েছে। এই আর্থিক নয়ছয়ের সূত্রে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা গ্রেফতার করেছে এনএসই-র প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং প্রাক্তন গ্রুপ অপারেটিং অফিসার (জিওও) আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমকে। এই দুয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘুষ নিয়ে বিশেষ সংস্থাকে বাড়তি সুবিধে পাইয়ে দিয়েছিলেন।
স্টক এক্সচেঞ্জের সিইও পদ থেকে রবি নারাইন অবসর নেওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন চিত্রা রামাকৃষ্ণা। তার আগে তিনি রবি নারাইনের মুখ্য আর্থিক পরামর্শ দাতা ছিলেন। এই আর্থিক কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর চিত্রা রামাকৃষ্ণাকে জেরা করে সিবিআই এক সাধুর খোঁজ পায়। জানা গিয়েছে, ওই সাধুর পরামর্শেই চলতেন চিত্রা রামাকৃষ্ণা। এই দুয়ের মধ্যে ই-মেল চালাচালি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সেই সব ই-মেল খতিয়ে দেখছে।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অভিযোগ, দিল্লির ব্রোকিং সংস্থা ওপিজি সিকিউরিটিজ ও তার প্রোমোটার সঞ্জয় গুপ্ত নিয়ম ভেঙে এনএসই-র কো-লোকেশন ব্যবস্থার সুবিধা নিয়েছিলেন। ফলে অন্য ব্রোকারদের থেকে কিছুটা সময় আগেই লেনদেনের জন্য লগ-ইন করতে পারতেন এবং তার সাহায্যে মুনাফা লুঠতেন সঞ্জয় এবং তার সহযোগী ব্রোকাররা।কত টাকা নয় ছয় হয়েছে, তার কোনও কুল কিনারা পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
আরও পড়ুন ওই সাংবাদিক নির্লজ্জ, মিথ্যেবাদী: যৌন হেনস্থার অভিযোগের জবাবে এলন