এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আবাসের লক্ষ্যপূরণে মোদির ভরসা সেই মমতার বাংলাকেই

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে বসবাসকারী গরিবদের মাথার ওপর পাকা ছাদ গড়ে দিতে ও গৃহহীণদের বাড়ি দিতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)র হাত ধরে চালু হয়েছিল ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা’(Pradhanmantri Gramin Awas Yojna)। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০২২ সালের মধ্যেই সবার মাথায় পাকা ছাদ গড়ে দেবেন তিনি। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এর একটা কারণ যদি কোভিড ও লকডাউন তো দ্বিতীয় কারণ দেশের সিংহভাগ রাজ্যে এই প্রকল্পের কাজ খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে। সব থেকে ধীরে কাজ হয়েছে বিজেপি(BJP) শাসিত ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যগুলিতেই। মোদি লক্ষ্য নিয়েছিলেন ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ১৪ হাজার ৬০৬টি বাড়ি তৈরি করার। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা এখনও অধরাই থেকে গিয়েছে। কিন্তু মোদি চান ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগেই তাঁর ঘোষিত টার্গেট পূরণ করতে। আর এই লক্ষ্যপূরণে তাঁর ভরসা বাংলার প্রশাসনকেই(Bengal Adminstration)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রশাসনেই আস্থা রাখছেন তিনি।

আরও পড়ুন শনিবার ত্রিপুরায় ৬০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল

কেন আস্থা মমতার প্রশাসনে? কেনই বা ভরসা এই বাংলাকে? কেন্দ্রের তথ্যই বলছে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ১৪ হাজার ৬০৬টি বাড়ি তৈরি তা পূরণ করতে গেলে এখনও ৮২ লক্ষের বেশি বাড়ি তৈরি করতে হবে। কেননা দেশে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ১২ লক্ষ ৪ হাজার ২৫টি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। মোদি চাইছেন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই ৮২ লক্ষের কোটা পূরণ করতে। কিন্তু তিনি নিজেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির কাজের ওপর বেশি ভরসা রাখতে পারছেন না সেখানে এই প্রকল্পের কাজ খুব ধীর গতিতে চলায়। কিন্তু বাংলার ওপর তাঁর আস্থা জন্মেছে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার জন্য। হ্যাঁ এটা সত্যি কথা বাংলা থেকে এই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে বঙ্গ বিজেপির নেতারাই ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তবুও কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা জেলায় জেলায় পরিদর্শনে এসে এটাও দেখেছেন কাজ কিন্তু হয়েছে। মোদির কাছে এই কাজটাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ, দুর্নীতির উৎস পরে খুঁজেও বের করা যাবে, দোষীদের ঘাড় পরেও মটকানো যাবে। কিন্তু কাজটা সময়ে শেষ হওয়া এখন তাঁর ক্লাছে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন আস্থা মমতায়, আস্থা স্বাস্থ্যসাথীতে, ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে

আর সেই কারণেই সামনের বাজেটে এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য বাড়তি বরাদ্দ ঘোষণা করা হবে বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা’র জন্য কেন্দ্র সরকার প্রথমে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। পরে আরও ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সব মিলিয়ে বছরে বরাদ্দ হয়েছিল মোট ৪৮ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে এটাও ৬০ কোটি টাকা হতে পারে। উল্লেখ্য এই প্রকল্পের জন্য সমতল এলাকায় কেন্দ্র সরকার দেয় ৬০ শতাংশ খরচ ও রাজ্য সরকার দেয় ৪০ শতাংশ খরচ। পাহাড়ি এলাকায় সেটাই হ্যে যায় যথাক্রমে ৯০ শতাংশ ও ১০ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ৪৭ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯টি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধরিয়ে দিয়েছিল। সঙ্গে ঘোষণা করেছিল এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে ৪১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা দেবে। যদিও রাজ্যের দাবি সেই টাকা সময়মতো পাওয়া যায়নি। তাই ৩৩ লক্ষ ৯১ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি তৈরি করা গিয়েছে। এখনও বাকি আছে ১৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি। মোদি সরকার এখন চাইছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই বাড়ি তৈরি করে কেন্দ্রের মান বাঁচাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। প্রকল্প রূপায়ণের জন্য টাকার অভাব হবে না। বাজেটে এই নিয়ে ঘোষণার পরে পরেই তা বাংলাকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর