নিজস্ব প্রতিনিধি: বামেদের(Left) দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী(Education Minister) ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। আর সেই চ্যালেঞ্জের জেরে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে লাল শিবির। কেননা ব্রাত্য জানিয়েছেন, বাম আমলে পার্টি ধরে কত চাকরি হয়েছে, তার হিসেব তৃণমূল(TMC) শ্বেতপত্র আকারে পেশ করবে। এদিন কালিঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) দলের সাংসদ, বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন। সেই বৈঠকের পরেই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ আকারে সামনে আসবে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই কথা জানাবার পরেই বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একতা বড় অংশই। কার কার নাম উঠে আসবে তৃণমূলের তালিকায় তা নিয়ে অনেকেই সিঁটকে রয়েছেন। আবার অনেকে এটাও জানিয়েছেন, ভুলভাল তথ্য তুলে ধরা হলে তা নিয়ে আদালতে মামলাও করা হবে।
আরও পড়ুন Aadhar Update নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের
ব্রাত্য ঠিক কী জানিয়েছেন, ‘এখন এমন ভাব করা হচ্ছে, যেন তৃণমূল আমলেই সব হয়েছে। বামেরা যেন ধোয়া তুলসিপাতা ছিল। বাম আমলেও চিরকুট দিয়ে চাকরি হতো। নির্দিষ্ট দলের ছাত্র সংগঠন না করলে চাকরি পেতেন না কেউ। তাই, বাম আমলে পার্টি ধরে কত চাকরি হয়েছে, তার হিসেব তৃণমূল শিক্ষা সেল এবং কাউন্সিলারদের নিতে বলছি। সেই তথ্য মিললে দল তা শ্বেতপত্র আকারে পেশ করবে। চিরকুট সিস্টেম বরাবরই ছিল। আমি ভাগ্যবান যে এমএ পাশ করে ‘নেট’ উতরে যাই। তাই কলেজে চাকরি পেতে অসুবিধা হয়নি। তবে, আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের সদস্য ছিলেন না বলে চাকরি পাননি। সেই কারণেই আমরা এই পদক্ষেপ করছি। এসএসসি(SSC) চালু হওয়ার পর থেকে বাম আমলে যত নিয়োগ হয়েছে, সবই এই নজরদারির আওতায় আসবে।’
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কালীঘাটে মমতার মেগা বৈঠক
প্রাথমিক ভাবে তৃণমূল নেতাদের দাবি, যদি এই শ্বেতপত্র ঠিক ভাবে তুলে ধরা হয় তাহলে কারও চাকরি যাক বা না যাক অনেকেরই মুখ পুড়বে। কারণ অনেকেরই নাকি চাকরি কীভাবে হল তা নিয়ে তথ্য সরকারের কাছে নেই। স্কুলে স্কুলে শিক্ষক হোক কী Group-C বা Group-D পদের কর্মী হোক, অনেকেই বাম জমানায় চিরকুটের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি জোড়াফুলের নেতাদের। শিক্ষাদফতর ছাড়াও রাজ্যের আরও ১২টি দফতরে এই ধরনের কর্মী রয়েছেন কয়েক হাজার। এমনটাই দাবি জোড়াফুলের নেতাদের।
