নিজস্ব প্রতিনিধি: মিলে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দাবি। সেটাও ২৪ ঘন্টার মধ্যে। গতকাল অর্থাৎ সোমবার কোচবিহার(Coachbehar) জেলার চান্দামারি এলাকার প্রাণনাথ হাইস্কুলের মাঠে জনসভা করে তৃণমূলের(TMC) হয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা থেকেই তিনি নাম না করেই আক্রমণ শানিয়েছিলেন কোচবিহারের বিজেপি(BJP) সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে(Nishith Pramanik)। বলেছিলেন, ‘কোচবিহারকে আমি ভালোবাসি। বারবার তাই এখানে আসি। সবচেয়ে বড় ডাকাত মন্ত্রী খুন করে ঘুরে বেড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয় না। হোম মিনিস্টার কখনও গুন্ডা হতে পারে? পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ বিএসএফের গুলি খাচ্ছে, আর তিনি আফ্রিকায় ঘুরছেন। আফ্রিকা থেকে ঘুরে এসেই ১০০ জনের কনভয় নিয়ে বুক ফুলিয়ে বেরিয়ে পড়বেন প্রচারে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেখা গেল দুষ্কৃতীদের হামলাবাজির মুখে পড়ে প্রাণ গেল এক তৃণমূলকর্মীর। আর সেই ঘটনায় সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার(Jagdish Burma Basunia) দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভেটাগুড়িতে নিজের বাড়িতে ফিরেই বিজেপি কর্মীদের উস্কানি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন আস্থা মমতার উন্নয়নে, চা শ্রমিকেরা ফিরছেন তৃণমূলে
জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার গীতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জারি ধরলা গ্রামে মঙ্গলবার সাতসকালে একদল দুষ্কৃতী তৃণমূলকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তাতেই ৬ জন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তাঁর নাম বাবু হক। জখমদের মধ্যে ৪ জনকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে, বাকি ২ জনকে কোচবিহার শহরের এমজেএন মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশের দাবি, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের ভাড়া করে এনে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় ৮জন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই বিজেপির নেতাকর্মীরাই নিশীথের নির্দেশে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন ২ কোটি ভুয়ো রেশনকার্ড বাতিল বাংলায়, বছরে সাশ্রয় ৩৬০০ কোটি
জারি ধরলা গ্রামটি ধরলা নদীর বুকে। কার্যত একটি দ্বীপ এলাকা। সেখানে যেতে গেলে জলপথ ভিন্ন কোনও গতি নেই। একইসঙ্গে গ্রামটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। তৃণমূলের অভিযোগ, নিশীথের নির্দেশে বিএসএফ ওই জায়গা দিয়ে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীদের এদেশে ঢোকার ব্যাবস্থা করে দেয়। তারপরেই হামলার ঘটনা ঘটে। সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার দাবি, গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভেটাগুড়িতে নিজের বাড়িতে ফিরেই বিজেপি কর্মীদের উস্কানি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার জেরেই এই হামলার ঘটনা। ঘটনার জেরে গোটা এলাকা থমথমে হয়ে পড়েছে। আহতদের অভিযোগ, বিজেপির পাঠানো দুষ্কৃতীদের গুলিতেই আহত হয়েছেন তাঁরা।