এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আবারও নজর কাড়ল মমতার বাংলা, এবার শহুরে আবাস প্রকল্পে

নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বাজিমাত করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলা(Bengal)। আবারও বিরোধীদের মুখের ওপর সটান জবাবও ধেয়ে গেল। যারা এই বাংলার বুকে কোনও উন্নয়ন দেখতে পান না, তাঁদের জন্য আবারও হাতিয়ার হয়ে উঠল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) সরকারের দেওয়া সাফল্যের সার্টিফিকেট। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামীণ বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার(PMGAY) টাকা আটকে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP)। কিন্তু তাঁরা পারছে না একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দেশের একাধিক বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিনের সরকার ও রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে বাংলার সাফল্যকে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে। তাই তো আবারও সাফল্যের মুখ দেখল বাংলা। এবার এই রাজ্য দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রক পরিচালিত শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার(PMAYU) প্রকল্পে। এই তথ্য জানিয়েছে খোদ কেন্দ্র সরকারই।   

আরও পড়ুন মমতার প্রকল্পেই আস্থা বাংলার মহিলাদের, মাথা ব্যাথা বিরোধীদের

কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে অর্থাৎ January থেকে May, এই সময়ে বাংলায় শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্পে ৮৪৪ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। যার মধ্যে রাজ্যের পুর এলাকায় বাড়ি তৈরির জন্য কেন্দ্রের পাঠানো ৫০০ কোটির বেশি টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি বা Direct Bank Transfer বা DBT জমা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে যার সৌজন্যে বাংলা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এই প্রকল্পে প্রথম স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ। বাংলার চেয়ে বহুগণ বড় উত্তরপ্রদেশও এই প্রকল্পে বাংলার মতোই ৫০০ কোটি খরচ করতে পেরেছে। আর এই সাফল্যের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রের ভূমিকা প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলার ভাগের টাকা আটকে রাখার জন্য। এই নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুন Aadhar নিয়ে গুচ্ছের বদল আনল কেন্দ্র, উঠছে প্রশ্নও

ফিরহাদ জানিয়েছেন, ‘গোটাটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্য। ওঁনার দেখানো পথে হেঁটে স্বচ্ছতার সঙ্গে সকলের জন্য বাড়ি প্রকল্পে উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছি। কেন্দ্রীয়  সরকার স্রেফ সস্তা রাজনীতির জন্য গ্রামীণ এলাকায় এই প্রকল্পের টাকা প্রায় এক বছর বন্ধ করে রেখেছে। একাধিক কেন্দ্রীয় টিম এসেও দুর্নীতির অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পায়নি। আমার স্থির বিশ্বাস, গ্রামাঞ্চলেও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ হয়েছে। মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখে যে পাপ মোদি সরকার করছে, তার উপযুক্ত জবাব জনগণ দেবে। পঞ্চায়েত আর লোকসভা দুটি নির্বাচনের যোগ্য জবাব পাবে বিজেপি আর নরেন্দ্র মোদির সরকার।’

আরও পড়ুন ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড স্কিম’র জন্য ৭০ হাজার আবেদন

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য খরচ জোগাতে হয় কেন্দ্র, রাজ্য ও উপভোক্তাকে। ৫ লাখের বেশি জনসংখ্যার পুর এলাকায় এই বাড়ি তৈরির জন্য উপভোক্তাকে ৩৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় দেড় লক্ষ টাকা। ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বাড়ি প্রতি দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। গত মে’মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের পুর এলাকাগুলিতে মোট ৭৮ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ২১ হাজার বাড়ির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হোটেল থেকে জখম অবস্থায় উদ্ধার রূপান্তরকামী মহিলা

‘রাজভবনে ডাকলে আর যাব না, আপনার পাশে বসাও পাপ!’, সরব মমতা

কলকাতা সহ ৩ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

বেসরকারি বাসে টাঙাতে হবে ভাড়ার সুস্পষ্ট তালিকা, নির্দেশ আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের

নওশাদের জমি কাড়তে এবার ভাঙড়ে জনসভা অভিষেকের, ত্রস্ত আইএসএফ

দক্ষিণ কলকাতায় প্রকাশ্য রাস্তায় যুবতী ও তার বন্ধুর ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর