নিজস্ব প্রতিনিধি, জামালপুর: প্রেম বড়ই মধুর।
না আছে ভাষার মিল। না সংস্কৃতির। ধর্ম-বর্ণের ভেদও বিস্তর। কিন্তু তাতে কি যায় আসে?
শুধুমাত্র ভালবাসার টানে সুদূর মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন গ্লাডির্স নাইলি ট্রোরেবিয়ো মোরালিয়ার্স নামে এক তরুণী। রবিবার সকালে পা রেখেছিলেন ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তার পরে মনের মানুষের হাত ধরে ধর্ম বদলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আদালতেই পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছেন। মেমসাহেব বউ দেখতে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে সরিষাবাড়ি উপজেলার চর পোগলদিঘায়। সামাজিক মাধ্যমে যাঁর সঙ্গে পরিচয়, পরে মন দেওয়া-নেওয়া, সে যে বাবা-মা, ঘর-বাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে ছুটে আসবেন তা ভাবতেই পারেননি রবিউল হাসান রোমেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ২০১৯ সালে রবিউলের সঙ্গে পরিচয় হয় মেক্সিকোর এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম নেওয়া নাইলির। মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ফলের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়া মেয়েটি প্রথমেই বাংলাদেশের অজ পাড়া-গাঁয়ে বেড়ে ওঠা রবিউলের প্রেমে পড়ে যায়। মনের মানুষকে বাংলাদেশ ছেড়ে মেক্সিকোতে যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছিল নাইলি। প্রেমিকার অনুরোধে সাড়া দিয়ে সেই চেষ্টাও করেছিল রবিউল। কিন্তু করোনার কারণে সেই চেষ্টা নিস্ফলাই থেকে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরে পর্যটন ভিসা নিয়ে তড়িঘড়িই মনের মানুষের কাছে ছুটে এসেছে নাইলি।
বিদেশিনী বউমা পেয়ে খুশি রবিউলের বাবা নজরুল ইসলাম। সংবাদমাধ্যমকে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নাইলির সঙ্গে প্রেমের কথা আগেই আমাদের জানিয়েছিল রবিউল। আমরা কোনও আপত্তি করিনি। কেননা যারা ঘর-সংসার করবে, তাঁরা যাতে সুখী হবে, তাতেই আমাদের সুখ। নতুন বউমাকে স্বাগত জানাতে রবিবার পরিবারের সবাই মিলে ঢাকা বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ঢাকা আদালতে গিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করানো হয়েছে।’