নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অবাধ স্বাধীনতা আর চলাফেরায় লাগাম টানার চেষ্টা করেছিল মা। আর তাতেই জন্মেছিল একরাশ অভিমান। সেই অভিমান থেকেই ১২ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে নিজেকে শেষ করে দিল এক কিশোরী। মেয়ের এমন কাণ্ডে কার্যত বাকরুদ্ধ পরিবার। আত্মহত্যার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে আত্মঘাতী কিশোরী জানিয়ে গিয়েছে, তিন বছর ধরেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালাচ্ছিল। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের স্বদেশী বাজার মোড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দুপুর দুটো নাগাদ আচমকাই বিকট শব্দ শোনেন স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানদাররা। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। তখনই তাদের নজরে পড়ে রাস্তার উপরে পড়ে রয়েছে প্যান্ট-শার্ট পরিহিতা এক কিশোরী। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর পাঠান। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয বাসিন্দারা অবশ্য ওই কিশোরীকে শনাক্ত করতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ঘটনার কয়েক ঘন্টা বাদে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন ময়মনসিংহের কমার্স কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক স্বপন ধর। তিনি জানান, আত্মঘাতী কিশোরী তাঁরই মেয়ে অর্কপ্রিয়া ধর সৃজা। সে বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বাড়ি পুলিশ লাইনস এলাকায়। রবিবার দুপুরে স্বদেশী বাজার মোড়ে মাসির ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথা ছিল সৃজার। কিন্তু মাসির ফ্ল্যাটে না গিয়ে সোজা ছাদে উঠে গিয়েছিল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে সৃজার একটি স্ট্যাটাস দেখতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই স্ট্যাটাসে নিজের স্বাধীনতায় বাবা-মা ও ভাইয়ের হস্তক্ষেপ মেনে না নিতে পারার কথা উল্লেখ করেছে সে।