আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুজনের পরিচয় সার্জন। একজন অপারেশন করেন মানুষ। দ্বিতীয়জন পশুর। আর সেই পশু চিকিৎসকের হাতে পড়ে প্রাণ গেল মা এবং নবজাতকের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার বারহাট্টায়। পশু চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম আবুল কাশেম।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে বুধবার। চন্দ্রপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়। মৃতের নাম শরীফা আক্তার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবুল কাশেম এলাকার পশু চিকিৎসক বলেই পরিচিত। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও তিনি পরাজিত হন। নিহতের পরিবার সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, শরীফা বারহাট্টা সরকারি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পাশ করেন। গত বছর পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর এলাকার বাসিন্দা মহসিন মিঞার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সন্তান সম্ভবা হলে তিনি গত সপ্তাহে স্বামীর বাড়ি থেকে চন্দ্রপুরে বাপের বাড়ি চলে আসেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আবুল কাশেমকে তাঁরা পশু চিকিৎসক বলেই চেনেন।তিনি কোন আক্কেলে এক গর্ভবতীর অপারেশন করলেন, সেটাই প্রশ্ন। নিহতের মা মাফিয়া আক্তার খাতুন জানান, ঘটনার দিন সকালে শরীফার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি আবুল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কাশেম ডাক্তার জানান, চিন্তার কোনও কারণ নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে। তাঁর কথায় ভরসা করেন। পরে তিনি শরীফা আক্তারের সিজার করলে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ঘরে ওষুধ, স্যালাইন না থাকায় একজনকে মোহনগঞ্জে পাঠানো হয়। ওষুধ আনার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মেয়ে।
আরও পড়ুন ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়: হাসিনা