নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্ঘন্ট ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদের ৩০০ আসনে ভোট নেওয়া হবে। যদিও নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রত্যাখান করেছে বিএনপি-সহ দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল। ফলে ফের একটা প্রহসনের ভোট হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু বিরোধীদের ভোট প্রত্যাখানের সিদ্ধান্তকে পাত্তা না দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াই করা প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় সীমা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রার্থীরা ভোটার পিছু ১০ টাকা করে ব্যয় করতে পারবেন। অর্থাৎ কোনও আসনে এক লক্ষ ভোটার হলে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। ভোট কেনার জন্য প্রার্থীরা দেদার টাকা ঢালতে না পারেন তার জন্য ব্যয় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
২০১৮ সালেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের খরচের সীমা বেঁধে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ওই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোটি-কোটি টাকা খরচ করেছিলেন শাসক দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। পেশি শক্তির পাশাপাশি অর্থ শক্তির আস্ফালনও লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেই আস্ফালন রুখতে খুব একটা সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি নির্বাচন কমিশনকে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। দেশের মোট ভোটারের মধ্যে ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন মহিলা এবং ৮৩৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।