নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দুর্গাপুজোর সময়ে দেশজুড়ে পুজোমণ্ডপে হামলা ও বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শেখ হাসিনা প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মঙ্গলবার সংগঠনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আধিকারিক সাদ হাম্মাদি এক বিবৃতিতে, বাংলাদেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তেমনই শেখ হাসিনা প্রশাসন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও তোপ দেগেছেন। যদিও অ্যামনেস্টির অভিযোগকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাননি বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতারা।
সদ্য সমাপ্ত দুর্গাপুজোয় বেনজিরভাবে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে পরিকল্পিতভাবেই পুজোমণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়। পুজো মিটে যাওয়ার পরেও রেহাই পায়নি হিন্দু সম্প্রদায়। বরং পীরগঞ্জ সহ একাধিক এলাকায় হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে এবং দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের একাধিক দেশের পক্ষ থেকে এই নৃশংস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব চলাকালীন তাঁদের উপর, মন্দির ও পুজোমণ্ডপে হামলার খবর দেশে সংখ্যালঘুবিরোধী মনোভাবের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। হিন্দুদের ওপর বারবার এই ধরনের হামলা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটে চলেছে। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি এবং মন্দির ধ্বংস করার কাজ চলছে তার মানে এই দাঁড়ায় যে রাষ্ট্র সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে লক্ষ্য করে উস্কানি ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করা একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশে সংখ্যালঘুদের এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিবৃতিতে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি সব ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়ার দাবি জানানো হয়েছে।