নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে বিদেশি মুদ্রার মজুত ভাণ্ডার ক্রমশই কমছে। আর বিদেশি মুদ্রার মজুতের হাল যাতে আরও বেহাল না হয় তার জন্য সরকারি আধিকারিকদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল অর্থ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার এক্সপোজার ভিজিট, স্টাডি ট্যুর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সকল প্রকাশ বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।’ বুধবারই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সরকারি আধিকারিকদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমোদন না দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তাফা কামালকে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশের পরেই এদিন রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল।
অর্থ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দেশে কয়েক মাস ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের পরিমাণ ক্রমশ নিম্নমুখী। গত বছরের ১৯ অগস্ট বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। গত ১১ মে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৩ কোটি ডলার। যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা রয়েছে তা দিয়ে আগামী সাড়ে চার মাসের আমদানি দায় মেটানো যাবে। বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় আমদানি বাবদ প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। দেশে ডলারের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ৫০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমানো ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তা নেই।’
কারণ-অকারণে সরকারের শীর্ষ আধিকারিক ও পদস্থ কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ ইদানিং এক ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও রেল পরিচালনা ব্যবস্থা দেখার নাম করে কখনও আবার ডেয়ারি ফার্ম পরিচালনার প্রশিক্ষণ নেওয়ার নাম করে দেদার বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন সরকারি আমলারা। যা নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক সম,আলোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।