এই মুহূর্তে




মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা পরানোয় ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার নয়, নির্দেশ পুলিশ প্রধানের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতা তথা মুক্তিযোদ্ধাকে জুতোর মালা পরানোর ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজি বাহারুল আলম। আর বাহিনীর প্রধানের ওই নির্দেশের পরেই হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে চৌদ্দগ্রাম থানা। তাই ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এলাকায় বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার মালায় জুতো পরানোর ঘটনার মূলহোতা তথা জামায়াত ইসলামী নেতা আবুল হাসেম। আর পুলিশের এমন ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন দেশের মুক্তিযোদ্ধারা। সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবি জেড আই খান পান্নার কথায়, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের খতম করে দেশকে ফের পাকিস্তানের অঙ্গ প্রদেশ হিসাবে গড়ে তোলা। কিন্তু দেশের লক্ষ-লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা তা হতে দেবেন না।’

শেখ হাসিনা জমানার অবসানের পরেই বাংলাদেশ জুড়ে নখদাঁত বের করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ইসলামী-সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন। মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে জায়গা পেয়েছেন জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর তিন শীর্ষ নেতা মাহফুজ আলম, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ-সহ পাকিস্তান প্রেমীরা। আর দায়িত্ব পেয়েই বিচার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসনের শীরষ পদ থেকে মুক্তিযোদ্ধা পন্থীদের হঠিয়ে রাজাকার পরিবারের সন্তানদের বসানো হয়েছে। হিন্দু নিধন যজ্ঞের মূলপাণ্ডাদের গুরুত্বপুর্ণ পদে আসীন করা হয়েছে। আর তাতেই উ‍ৎসাহিত হয়ে পড়েছেন স্বাধীনতা বিরোধীরা।

গত পাঁচ মাস ধরে বাংলদেশে মুক্তিযোদ্ধা খতম অভিযান শুরু করেছে মোল্লা ইউনূস সরকার। আর সেই প্রক্রিয়ায় অংশ হিসাবে গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) চৌদ্দগ্রামের কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তথা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতোর মালা পরিয়ে এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয় স্বাধীনতা বিরোধী হিসাবে পরিচিত জামায়াত ইসলামীর স্থানীয নেতা-কর্মীরা। এমনকি তাঁকে সপরিবারে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ওই লজ্জাজনক ঘটনার ভিডিও। বিজয়ের মাসে এক জন মুক্তিযোদ্ধার এমন হেনস্থায় নিন্দার ঝড় ওঠে। বিএনপি-সহ একাধিক দলের তরফে ঘটনার নিন্দা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। চাপে পড়ে অভিযুক্তদের ধরতে আসরে নামে চৌদ্দগ্রামের পুলিশ। আর ওই খবর জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান তথা জামায়াত ইসলামীর সুরা মজলিশের সদস্য বাহারুল আলম। কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে ফোন করে অভিযুক্তদের ধরতে চালানো অভিযান অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন। আর ওপরওয়ালার নির্দেশের পরেই অভিযুক্তদের ধরার অভিযান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আইজিপির নির্দেশ জানতে পেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশের মুক্তিযোদ্ধারা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পড়ানোর অছিলায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ‘নরপিশাচ’ গৃহশিক্ষককে চরম সাজা আদালতের

‘রাজধর্ম’ পালন না করতে পারলে সরে দাঁড়ান, ইউনূসকে কড়া বার্তা সেনাপ্রধানের

কুমিল্লায় পুরুষ সহকর্মীর সামনেই মহিলা কর্মীকে যৌন নির্যাতন, নগ্ন করে ভিডিও ধারণ

ইউনূসের নাকের ডগায় মহিলা সাংবাদিককে সাত ঘন্টা ধরে ধর্ষণ ১৬ দুষ্কৃতীর

ভারতে নাশকতা চালাতে ইউনূস সরকারের মদতে ইসলামিক রিপাবলিকান আর্মি গড়ল রোহিঙ্গা জঙ্গিরা

বাংলাদেশে ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের মা হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ, তার পর ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা…

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর