নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: গাজিপুরের শ্রীপুরের পরে এবার রংপুরের সরকারি চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে ‘শাওন’ নামে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী তালুকদার। খাঁচাতেই মৃত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে চিড়িয়াখানা চত্বরে শাওনকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। শাওনের মৃত্যুর ফলে রংপুর চিড়িয়াখানা বাঘ শূন্য হলো। সরকারি চিড়িয়াখানায় একের পর এক প্রাণির মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকারের শীর্ষ মহল। সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও সিংহীর মৃত্যুর পরে রংপুর চিড়িয়াখানায় বাঘিনীর মৃত্যুতে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে প্রশাসন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মহম্মদ এরশাদের জমানায় রংপুরের হনুমানতলায় ২২ একর জমির উপরে গড়ে তোলা হয় দেশের দ্বিতীয় সরকারি চিড়িয়াখানা। ১৯৯২ সালে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিংহ, বাঘ, জলহস্তী, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া ও ভাল্লুক।
রংপুর চিড়িয়াখানার ডেটুটি কিউরেটর আম্বর আলি তালুকদার জানিয়েছেন, ২০০৩ সালের ৩০ জুন জন্ম হয়েছিল শাওনের। সাত বছর বয়সে ২০১০ সালে রংপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয় তাকে। দর্শকদের কাছে যথেষ্টই জনপ্রিয় ছিল। শারীরিকভাবে যথেষ্ট সুস্থই ছিল। তাহলে কিভাবে মারা গেল?
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটরের দাবি, বাঘ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে। শাওনের বয়স হয়েছিল ১৮ বছর ৭ মাস। বার্ধক্যের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রাণি বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, মাঘের প্রচণ্ড শীতে কাহিল হয়ে পড়েছিল শাওন। উল্টে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।