নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেও কোনও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে গেলে অবশ্যই করোনার টিকা নেওয়ার শংসাপত্র থাকতে হবে। সেই সঙ্গে একসঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচজন শ্রদ্ধা জানাতে যেতে পারবেন। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জমান।
দেশভাগের পরেই পাকিস্তানের শাসকরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের উপরে উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দিয়েছিলেন। উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণার দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন রফিক, সালাম, বরকতরা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। পাক সেনাদের বুলেট ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল প্রতিবাদী পড়ুয়াদের শরীর। কিন্তু সালাম-বরকতদের সেই প্রতিবাদ বৃথা যায়নি। আজ গোটা বিশ্বজুড়েই ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ঢাকার পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার সিয়েরালিয়েনের শিশুরাও ভাষা দিবসে গেয়ে ওঠে— আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…।
চলতি বছর ভাষা দিবস পালনের জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভাষা শহিদদের স্মরণের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখা হচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিকে। তাই বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ পাঁচ জন ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন ফুল দিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। মাস্ক ছাড়া শহিদ মিনার চত্বরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহিদ মিনার চত্বরের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরকেও নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে।’