নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ভাষা শহিদদের স্মরণে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল এবারের অমর একুশে বইমেলা। কিন্তু প্রথম ছয়দিনে উৎসাহী পাঠকদের বইমেলামুখো হতে দেখা যায়নি। ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন প্রকাশক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে নিয়ে বসা বিক্রেতারা। অবশেষে তাঁদের উদ্বেগ কাটল। সোমবার ভাষা দিবস উপলক্ষে বইমেলায় উপচে পড়েছিল ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কার্যত রাজধানীর সব রাজপথ এসে মিশে গিয়েছিল সোহরাওয়ার্দি উদ্যান প্রাঙ্গনে। শুধু বইপ্রেমী মানুষের ভিড়ই যে জমেছিল তা নয়, বিক্রিও হয়েছে দেদার। ফলে হাসি ফুটেছে লেখক থেকে শুরু করে বিক্রেতাদের মুখে।
২১ ফেব্রুয়ারি হওয়ায় এদিন সকাল আটটা থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছিল বইমেলার দরজা। শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর পরে অনেকেই ঢ়ুঁ মেরেছেন বইমেলা চত্বরে। বেলা যত বেড়েছে ততই বেড়েছে ভিড়। কেউ একা এসেছেন, কেউ প্রিয় বন্ধু বা বান্ধবীর হাত ধরে, আবার কেউ এসেছেন সপরিবারে। সকাল থেকেই জমজমাট ছিল মেলা প্রাঙ্গন। কেউ বিভিন্ন বই স্টলে প্রিয় লেখকের বই খুঁজে বেড়িয়েছেন, কেউ এবারের বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত বই হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখেছেন, কেউ আবার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা মেরেছেন।
ভিড় উপচে পড়েছিল ইউনিভার্সিটি প্রেস, প্রথমা, মুক্তধারা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মুক্তধারা সহ নামীদামী প্রকাশনা সংস্থার স্টলে। নতুন লেখকদের চেয়ে পুরনো ও জনপ্রিয় লেখকদের বই কেনার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন। এদিন বইমেলায় ভিড় ও বিক্রি-দুইই প্রকাশকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কিন্তু আগামিকাল মঙ্গলবার মেলায় কেমন ভিড় হবে, তা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রয়েছেন প্রকাশকরা। কেননা এদিন জাতীয় ছুটি থাকায় অনেকেই মেলায় হাজির হয়েছিলেন।