নিজস্ব প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: রাত পোহালেই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ উল ফিতর। আর সবচেয়ে বড় পার্বনের আগের দিন এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদল আওয়ামী লীগের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আস্থানগর। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১৫ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাসকদল আওয়ামী লীগের দুই নেতার মধ্যে বিরোধ চলছিল। একদিকে রয়েছেন ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত উল্লাহ অন্য গোষ্ঠীর নেতৃত্বে প্রাক্তন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফজলুর রহমান। সোমবার বিকাল থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই গোষ্ঠীর সমর্থকরা বাঁশ, লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একে অন্যের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে চলে বোমাবাজি। সংঘর্ষে প্রাণ যায় চার জনের।
ঈদের আগের দিন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয বাসিন্দারা। সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান রতন রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে। নতুন করে যাতে সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে তার জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।