নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: মায়ানমারের সেনাবাহিনীর (Myanmar Army) অত্যাচারে ভিটেমাটি ছেড়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) আশ্রয় নিয়েছিলেন ওঁরা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে বান্দরবানের (Bandarban) নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে (Ghumdhum Border) মায়ানমার সেনাবাহিনীর লাগাতার মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে তাতে রাতের ঘুম উবেছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের (Rohingya Refugee)। মায়ানমারের হামলা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসঙ্ঘে (UN) চিঠি পাঠালেন তাঁরা।
গত কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশ সীমানায় লাগাতার মর্টারশেল ছুড়ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী। এমনকী যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণও করা হচ্ছে। গত শুক্রবারই মায়ানমার থেকে আসা গোলায় এক কিশোর প্রাণ হারিয়েছিল। তার পর থেকে মাঝেমধ্যেই রোহিঙ্গা শিবির লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মায়ানমার সেনা। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। সোমবার তুমব্রু সীমান্তের কোণাপাড়া ক্যাম্পের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে সাহায্য চেয়ে জাতিসঙ্ঘে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে, মায়ানমারের সামরিক বাহিনী যে কোমনও মুহূর্তে আরও বড় আক্রমণ করতে পারে। সেই হামলা থেকে অসহায় শরণার্থীদের বাঁচাতে যাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়, জাতিসঙ্ঘের কাছে সেই অনুরোধও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, সীমান্তে মায়ানমার সেনাবাহিনীর বাড়াবাড়িতে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ সরকার। মঙ্গলবার আসিয়ানভুক্ত নয় এমন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব (Acting Foreign Secretary) অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশেদ আলম (Khurshed Alam)। ওই বৈঠকে মায়ানমার সংলগ্ন সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি বর্ণনা করা হয়। বাংলাদেশ যে যুদ্ধ চায় না তা স্পষ্ট করে দিয়ে মায়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার যাতে সংযত হয়, তার জন্য চাপ সৃষ্টির অনুরোধ জানানো হয়।