এই মুহূর্তে




‘ভোট হলে জিতবে শেখ হাসিনার দলই’, তিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে ঘুম উবেছে মোল্লা ইউনূসের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সেনা বিদ্রোহের মুখে ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নিশ্ছিহ্ন অভিযানে নেমেছে পাকিস্তানি চর মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। নিষিদ্ধ করা হয়েছে শেখ হাসিনার দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগকে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব চোখেই পড়েনি। কিন্তু তিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ‘দেশে তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী ভোট হলে ক্ষমতা দখল করবে শেখ হাসিনার দলই।’ আর ওই রিপোর্টেই ঘুম উবেছে মোল্লা ইউনূস ও তার সঙ্গী পাকিস্তানি চরদের। ইতিমধ্যে বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের কাছেও ওই গোয়েন্দা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। আর তার পরেই নির্বাচন নিয়ে কার্যত সুর নরম করেছেন দুই দলের শীর্ষ নেতারা।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশের তিন গোয়েন্দা সংস্থা স্পেশাল ব্রাঞ্চ, এনএসআই এবং ডিজিএফআইকে অন্তর্বর্তী নির্বাচন হলে কী হতে পারে তা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। গত ৮ নভেম্বর তিন সংস্থার তরফে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১৬০ থেকে ১৭০ আসন পেতে পারে। বিএনপির ভাগ্যে জুটতে পারে ৮০ থেকে ৯০ আসন। জামায়াত ইসলামি পেতে পারে ২০ থেকে ৩৫ আসন। জাতীয় পার্টি ৫ থেকে ১০ আসন।

কেন আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় ফিরবে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলন মূলত শহর কেন্দ্রিক ছিল। গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল না। উল্টে গত ১৫ বছর গ্রামের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এবং গরিব মানুষের অর্থনৈতিক দশা অনেক বদলেছে। আর তার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ গ্রামীণ ভোটাররা। দ্বিতীয়ত, অন্তর্বর্তী সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে কোমর কষে আসরে নেমেছে তা ভালভাবে মেনে নিতে পারছেন না সিংহভাগ মানুষ। তৃতীয়ত, শেখ হাসিনা জমানার পতনের পরে চাল-ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। গত তিন মাসের মধ্যে জিনিসের দাম ২৫-৩০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। চতুর্থত, ক্ষমতার পালাবদলের পরে একাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেকার হয়ে পড়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। কাজ হারানো শ্রমিকদের পরিবার ও পরিজনরা এর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করছে। পঞ্চমত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে ঠেকেছে। আওয়ামী জমানার চেয়েও চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব বেড়েছে। আর ওই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। ফলে মানুষ চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। ষষ্ঠত, হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক পুরোপুরি আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকেছে। ক্ষমতার পালাবদলের পরে বিএনপি ও জামায়াত সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলি যেভাবে অত্যাচার চালাতে শুরু করেছেন তাতে ক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়। বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা। হিন্দুদের ভোট একচেটিয়াভাবে আওয়ামী লীগে পড়বে।

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না’, ভারতের বিদেশ সচিবকে প্রচ্ছন্ন হুমকি ইউনূস সরকারের

দিল্লিকে বেশি বাড়াবাড়ি না করার হুঁশিয়ারি দিলেন ইউনূসের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দিল্লি থেকে ইউরোপীয় ভিসা সেন্টার সরিয়ে ঢাকা-পাকিস্তানে খোলার দাবি মোল্লা ইউনূসের

‘ভারত বিদ্বেষী’ বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ দার্জিলিংয়ের হোটেলের দরজা

ইউনূসের জমানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো হচ্ছে জঙ্গিবাদ, স্কুল বিমুখ ৩৭ শতাংশ শিশু

মোল্লা ইউনূস ও তার গ্যাং’কে নিয়ে বাংলাদেশের সমাজমাধ্যমে তোলপাড় ফেলেছে যে ছবি

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর