নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসবে মেতে উঠতে শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন পরিযায়ী চাকুরিজীবিরা। আর তার ফলেই ট্রেন থেকে বাস এমনকী লঞ্চেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। বাস সহ প্রাইভেট কার, মোটরবাইকের চাপে বিভিন্ন ফেরিঘাটগুলিতে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লক্ষ্য করা গিয়েছে। বাড়ি ফিরতে সাধারণ মানুষ যেভাবে তাড়াহুড়ো করছেন তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
কবে ঈদ হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যদিও তার জন্য সাধারণ মানুষের তর সইছে না। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রবিবার পয়লা মে পড়ায় ছুটি। ২ থেকে ৪ মে ঈদের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে টানা ছয়দিনের ছুটি উপভোগ করতে এদিনই ঢাকার অস্থায়ী আস্তানা ছেড়ে বাড়ির পথ ধরেছেন অসংখ্য মানুষ। সকাল থেকে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল মানুষের ভিড়ে গমগম করছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আচমকাই যাত্রীর ভিড় বাড়ায় কার্যত দম ফেলার ফুসরৎটুকু পাচ্ছেন না বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার কর্মীরা। অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় বাড়তি যানবাহন নামায় ঢাকা-টাঙাইল মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালেও যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। অল্প সংখ্যক বার্জ থাকায় বাড়িমুখো সাধারণ মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আগামিকাল শনিবার বিভিন্ন পোশাক তৈরির কারখানায় ছুটি হওয়ার পরে চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।