নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আশঙ্কাই সত্যি হলো। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন প্রজাতির কারণেই দেশে বেলাগাম সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। দেশে নতুন করে আক্রান্ত করোনা রোগীদের ৮২ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরিফুদ্দিন আহমেদ। যদিও এদিন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৮০ শতাংশের শরীরে করোনার অতি সংক্রামক প্রজাতি ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, ওমিক্রন নাকি ডেলটা প্রজাতি, কার দাপটে লাগামহীন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে? গত জানুয়ারি মাসে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাজধানী ঢাকাতে ওমিক্রন তাণ্ডব চালালেও দেশজুড়ে ডেলটা প্রজাতির কারণেই করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য জানিয়েছেন, ‘ওমিক্রনের কারণে দেশে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ বেলাগাম হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিতদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা গিয়েছে, আক্রান্তদের ৮২ শতাংশই ওমিক্রনে আর ১৮ শতাংশ ডেল্টায় সংক্রমিত হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ওমিক্রন ও ৩৫ শতাংশ ডেল্টায় সংক্রমিত।’
এদিন সরকারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর, বি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪৮ জনের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখা গিয়েছে, ৮০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত আর বাকি ২০ শতাংশের শরীরে পাওয়া গেছে ডেলটা প্রজাতি। যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৩৯ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন বিএ১ এবং ৪১ শতাংশের শরীরে ওমিক্রনের বিএন২ উপধরন শনাক্ত হয়েছে।’