নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে করোনার সংক্রমণ ফের লাগামছাড়া হয়ে উঠলেও অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার বিকালে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, ‘শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। ওমিক্রন দাপট দেখিয়ে চলছে। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শুধু সতর্ক থাকতে হবে। মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের বড় হাতিয়ারই হল টিকা।’ পাশাপাশি করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রুখতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরেই দেশে করোনার সংক্রমণ বেলাগাম হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ আড়াই লাখের গণ্ডি ছোঁয়ার মুখে পৌঁছেছে। ফলে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বাড়ছে। মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মারণ ভাইরাসের বেলাগাম সংক্রমণ কিভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে এদিন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সব সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যোগ দেননি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গত দু’বছর ধরে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি আমরা। যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা দিয়েই লড়াই করতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনীতিকেও বাঁচাতে হবে। তাই স্থানীয় স্তরে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করার উপরে জোর দিতে হবে।’
দেশে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকা যে বড় হাতিয়ার তা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘দেশের ৯২ শতাংশ মানুষকে ইতিমধ্যে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। টিকা নিয়ে এখনও গুজব রটানো হচ্ছে, সেই গুজবের মোকাবিলা করতে হবে। সেই সঙ্গে করোনার পরবর্তী প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’