নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়ানাড: রাহুল গান্ধিকে হারাতে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা যার উপরে বাজি ধরেছেন সেই কে সুরেন্দ্রনের মাথায় ঝুলছে ২৪২ মামলা। দুই শতাধিক ফৌজদারি মামলার আসামীকে প্রার্থী করার পরে কোন মুখে মোদি-শাহরা ‘স্বচ্ছতার’ শ্লোগান দেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের ‘কু-কীর্তি’ আড়াল করতে গিয়ে ‘জাতীয়তাবাদের’ দোহাই পেড়েছেন। জাতীয়তাবাদের পরাকাষ্ঠার প্রমাণ দিতে গিয়েই কে সুরেন্দ্রন একের পর এক মামলায় জড়িয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রতিটি প্রার্থীকেই নিজের বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিস্তারিত বিবরণ সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হয়। যাতে সাধারণ মানুষ জানতে পারেন, ভোটের ময়দানে থাকা প্রার্থীরা কতটা স্বচ্ছ আর কতটা দাগি। সপ্তদশ লোকসভায় থাকা সাংসদদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাগি ছিল বিজেপির। কথায়-কথায় যে বিরোধীদের অকাতরে ‘জ্ঞান’ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তার দলও যে দাগিদের প্রার্থী করার দোষে দুষ্ট তা প্রমাণিত। সপ্তদশের মতো অষ্টাদশ লোকসভাতেও যে দাগিদের রমরমা থাকবে, তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। কেননা, বিভিন্ন দলের তরফে যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে তাতে অধিকাংশের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
যেমন কেরলের ওয়ানাড আসনে রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে যিনি প্রার্থী হয়েছেন সেই কে সুরেন্দ্রনের বিরুদ্ধে ২৪২টি মামলা রয়েছে। এনার্কুলামের বিজেপি প্রার্থী কে এস রাধাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে রয়েছে ২১১ মামলা। দুই দাগিকে কেন প্রার্থী করা হল সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেরল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জর্জ কুরিয়েন বলেছেন, ‘কে সুরেন্দ্রনের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলাই শবরীমালা মন্দির আন্দোলনের সময়ের। বাকি পাঁচটা মামলা কেরলের বাম সরকারের সময়ে বিভিন্ন বিক্ষোভ-আন্দোলন সংগঠিত করার কারণে।’