নিজস্ব প্রতিনিধি: অরাজকতা যেন পিছু ছাড়ে না জম্মু ও কাশ্মীরের। এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীরে বরখাস্ত চার সরকারি কর্মী।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার নেতৃত্বাধীন জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন বুধবার ৩১১ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি চিকিৎসক সমিতির সভাপতি সহ চার জন সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। সংবিধানের ৩১১ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল যদি মনে করেন যে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও ব্য়ক্তি নির্দিষ্ট পদের জন্য যোগ্য নয়, তাহলে তদন্ত ছাড়াই তাকে বরখাস্ত করা যেতে পারে।
বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডাঃ নিসার-উল-হাসান, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল আবদুল মজিদ ভাট, উচ্চশিক্ষা বিভাগের ল্যাবরেটরি বাহক আবদুল সালাম রাথার এবং শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক ফারুক আহমেদ মীর। প্রত্যেকেই ভারতীয় সংবিধানের ৩১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে।
সরকারি সংস্থায় কর্মরত থাকাকালীন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সহায়তা করার অভিযোগে গত তিন বছরে ৫০ জনেরও বেশি সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করেছে কাশ্মীর। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীরা ভারত সরকারের কাছ থেকে বেতন নিতেন, কিন্তু পাক সন্ত্রাসবাদীদের রসদ সরবরাহ করতেন এবং সন্ত্রাসবাদীদের মতাদর্শ প্রচার করতেন।
গত জুনে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলির জন্য অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক, রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিক এবং এক পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের আগস্টে ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পরে ৩১১ অনুচ্ছেদটি জম্মু ও কাশ্মীরে প্রসারিত হয়েছিল। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হলে সরকারি চাকরিতে কোনো ব্যক্তিকে তদন্ত ছাড়াই বাতিল করা যেতে পারে।