এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৩৭ দিন বাদে আত্মসমর্পণ খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁকে তন্ন তন্ন করে খুঁজছিল পুলিশ। পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বৈষম্য ছড়ানো, খুনের চেষ্টা,পুলিশকে আক্রমণ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কিছুতেই তাঁকে খুঁজে পেয়েও ধরতেও পারছিল না পুলিশ। কিন্তু ছবিটা দ্রুত বদলাতে থাকে ৩ দিন আগে তাঁর বউ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ায়। তখন থেকেই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছিল যে এবার আত্মসমর্পণ ভিন্ন গতি নেই ‘ওয়ারিশ পঞ্জাব দে’ সংগঠনের নেতা অমৃতপাল সিংয়ের(Amritlal Singh)। অবশেষে রবিবার ভোরে পঞ্জাবের(Punjab) মোগা(Moga) শহরে তাঁকে গ্রেফতার(Arrest) করতে সক্ষম হয় পুলিশ(Police)। তাঁকে এদিন অসমের ডিব্রুগড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপাতত সেখানেই তাঁকে কারাবন্দী হিসাবে রাখা হবে। মনে করা হচ্ছে বউ পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই অমৃতলাল ভেঙে পড়েছিল।

আরও পড়ুন গান্ধি হত্যা মামলার বিচার নিয়ে প্রশ্ন, আবেদনকারীকেই ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

খলিস্তানি আন্দোলনের(Khalistani Movement) নয়া মাথা অমৃতপাল দীর্ঘ ৩৬ দিন ধরে ফেরার ছিলেন। অমৃতসরের কাছে অঞ্জলা থানার লকআপে বন্দি সঙ্গীকে ছাড়ানোর জন্য কয়েকশো জনকে নিয়ে ১৮ মার্চ হামলা চালান অমৃতপাল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পপ্পলপ্রীত সিংহ। ওই ঘটনার পর থেকেই দু’জন পলাতক ছিলেন। তবে ১০ এপ্রিল পপ্পলপ্রীতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অমৃতপাল অধরাই ছিলেন। ১৮ মার্চ থেকে পঞ্জাবের জলন্ধর, হোশিয়ারপুর এবং অমৃতসরের একাধিক গ্রামে ছদ্মবেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন অমৃতপাল। কিছুতেই তাঁকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। এমনকি, পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে অমৃতপাল পঞ্জাবঘেঁষা রাজস্থানে পালিয়েছেন বলেও দাবি করছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজস্থানের হনুমানগড় এবং গঙ্গানগর জেলায় চিরুনিতল্লাশি করা হয় অমৃতপালের খোঁজে। কিন্তু কখনই ধরা পড়েননি অমৃতপাল। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসেই নিজের বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন অমৃতপাল। বিয়ে করেছিলেন অনাবাসী ভারতীয় কিরণদীপ কউরকে(Kirandip Kaur)।

আরও পড়ুন ধন্যি ভালবাসা, চলার শক্তি হারিয়ে ফেলা কনেকে কোলে তুলে সাত পাক ঘুরলেন বর

জানা গিয়েছে, কিরণদীপ অনাবসী ভারতীয়। থাকেন ব্রিটেনে। সমাজমাধ্যমে অমৃতপালের ভিডিয়ো দেখে প্রেমে পড়েছিলেন কিরণদীপ। ‘দ্য উইক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরণদীপ জানিয়েছিলেন যে, ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইনস্টাগ্রামে অমৃতপালকে ‘ফলো’ করতেন তিনি। তার পরই প্রশংসা করে অমৃতপালকে মেসেজ করেছিলেন। এর পর দু’জনের মনের আদানপ্রদান হয়। বিয়ে সেরে ফেলেন খলিস্তানি নেতা। কিরণদীপ জানিয়েছেন, বিয়ের আগেই তাঁকে অমৃতপাল বলেছিলেন যে, কোনও এক দিন হয়তো তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তবে সেই আশঙ্কা যে এত দ্রুত সত্যি হবে, তা হয়তো ভাবতে পারেননি কেউ। অমৃতসরের বিমানবন্দরে মাত্র ৩ দিন আগে কিরণদীপকে আটকেছিল পুলিশ। তিনি লন্ডনে যাচ্ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়েছে। কার্যত তখন থেকেই মনে করা হচ্ছিল অমৃতপালের ধরা পড়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। রবিবার সকালে সেটাই বাস্তব হয়ে দাঁড়াল।

আরও পড়ুন ‘সত্য বলার মূল্য চোকাচ্ছি’, বাংলো ছাড়ার পরে আবেগপ্রবণ রাহুল

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যাতেই মোগা শহরে পা রেখেছিলেন অমৃতপাল। তিনি যে শহরে এসেছেন, তা নিজেই ফোন করে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। তার পর রবিবার ভোরে আত্মসমর্পণ করবেন বলেও জানান। সেই মতন রবিবার ভোরে তিনি মোগা শহরের একটি গুরুদ্বারের সামনে গিয়ে নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে ধরা দেন। তার পর তাঁকে গ্রেফতার করে অমৃতসরে নিয়ে যাওয়া হয়। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পঞ্জাব পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মিলিত প্রচেষ্টায় এই গ্রেফতারি সম্ভব হয়েছে বলে দাবি কয়েকটি সূত্রে। অমৃতপালকে অসমের ডিব্রুগড়ের জেলে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। সেখানে তাঁর অন্য সহকারীদেরও রাখা হয়েছে। অমৃতপালের দলের আরও আট সদস্যকে অসমের কারাগারে রাখা হয়েছে। যদিও এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে এত দ্রুত কেন ধরা দিলেন অমৃতপাল?

আরও পড়ুন ১৯ বছর বাদে ১২ তুঘলক লেনের বাংলো ছাড়লেন রাহুল গান্ধি

অনেকের ধারনা, পুলিশ বা দেশের গোয়েন্দাদের কাছে নয়, অমৃতপাল হেরেছেন ভালবাসার কাছে। স্ত্রীর ভালবাসার টানেই হার মেনেছেন অমৃতপাল। সেই কারণেই নিজে থেকেই পুলিশকে ফোন করে তাঁদের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। যদি পুলিশের দাবি, পাঞ্জাব এর আগে এই খলিস্তান আন্দোলনের জেরে চূড়ান্ত সন্ত্রাস, খুনোখুনি, দাঙ্গা, মারামারি দেখেছে। সেই আবহে পাঞ্জাবের মানুষ এই খলিস্থান আন্দোলন নিয়ে নতুন করে মাথা ঘামাতে চাইছিলেন না। আমজনতা সেভাবে অমৃতপালকে সমর্থন করেননি। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক বলেই মনে করেন। নতুন করে ধর্মের নামে দেশভাগে নারাজ তাঁরা। পাঞ্জাবের কিছু ধর্মীয় সংগঠন অবশ্যই অমৃতপালকে সমর্থন করেছিল, বিদেশের বহু পাঞ্জাবি সংগঠন অকাতরে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিল তাঁকে। কিন্তু পুলিশের চাপে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলির চাপে তাঁরাও হাত গুটিয়ে নিতে যেমন বাধ্য হচ্ছে তেমনি দ্রুত কিছু করে দেখাতে না পারায় অমৃতপালের নিজস্ব অনুগামীরাও তাঁকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। তাই ধরা দেওয়া ছাড়া তাঁর কাছে বিকল্প কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। সব থেকে বড় কথা হাতে বন্দুক তুলে নিয়ে কেউ আর নতুন করে পাঞ্জাবকে সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দিতে চাইছিল না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

১৪ বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট

তৃতীয় দফায় ধনী প্রার্থী ১,৩৬১ কোটির মালিক, গরিব প্রার্থীর সম্বল মাত্র ১০০ টাকা

দিদির বিয়েতে নাচতে নাচতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল কিশোরী

তৃতীয় দফার ভোটে লড়াইয়ে নামা ১৮ শতাংশ প্রার্থীই ‘দাগি’

তৃতীয় দফায় ৩৯২ জন কোটিপতি, শুধু বিজেপিরই ৭৭ জন

হেমন্ত সোরেনের জামিন মামলায় ইডির বক্তব্য জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর