নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: বিহারে (Bihar) রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মোদি সরকার (Modi Government) ইডি (ED), সিবিআই (CBI), আয়কর দফতরকে (Income Tax) লেলিয়ে দিতে পারে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও ইডি ও সিবিআইয়ের অতি সক্রিয় হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকলেও গুরুত্ব দিতে চাইছেন না উপমুখ্যমন্ত্রী (Bihar Deputy Chief Minister) তথা আরজেডি সভাপতি তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। বরং খানিকটা শ্লেষের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইডি, সিবিআইকে স্বাগতকে জানাচ্ছি। আমি বলছি, আমার বাড়িতেই অফিস খুলে বসুক। আমি যথাযথ আপ্যায়ন করব।’
বিহারের মতো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ায় মুখে না বললেও হতাশ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট (Grand Alliance) সরকারকে অস্থির করে তুলতে ইডি ও সিবিআইয়ের মতো দুই পোষ্যভৃত্য সংস্থাকে ব্যবহার করতে পারেন বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে মহাজোট সরকারের প্রাণভোমরা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav) সহ লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার তদন্ত আগে থেকেই চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি।
এক সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে লালুপ্রসাদ যাদবের ছোটপুত্র তেজস্বী যাদব বলেন, ‘আমি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। শুধু ইডি কেন, সিবিআই, আয়কর দফতর সহ যত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রয়েছে সব সংস্থাকেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমার বাড়িতে অফিস খুলে বসুক। যতদিন চাইবে ততদিন থাকুক। কেন দু মাস অন্তর এসে নানা অছিলায় হানা দেওয়া?’ ইডি-সিবিআইকে বিজেপির শাখা সংগঠন হিসেবেও কটাক্ষ করেছেন তেজস্বী।